সারা বিশ্বের বৈশ্বিক মহামারির নাম করোনা। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরাকারের কার্যকরী দূরদর্শী পদক্ষেপের ফলে সারা বিশ্বে প্রশংসনীয় হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশের গণপরিবহন, সাধারণ দোকানপাট, মার্কেট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী দেশের ভ্যান চালক ও দিনমজুরদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান ভাতা/সহোযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে যা এদের জন্য অনেকটা স্বঃস্তির কারণ হয়েছে। দেশের যে সকল ছোট দোকানদারদের দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাধ্যতামূলক বন্ধ রাখা হয়েছে তাদের অনেকেরই পরিবার পরিচালনার অবস্থা দুর্বিসহ হয়ে গেছে। বিশেষ করে চা দোকানদাররা।
দেশের অধিকাংশ চা দোকানদারদের আয়ের একমাত্র অবলম্বন তার দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়াতে কঠিন হয়ে হয়ে গেছে তাদের জীবনযাপন। পাবনা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের এসব দোকানদারদের খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, এদের বর্তমান অবস্থা। বেড়া উপজেলার মাশুন্দিয়া-কাজীপাড়া গ্রামের এক চা দোকানদার জানান, সরকারের নির্দেশ মেনে গত ২৫ তারিখ থেকে আমার দোকান বন্ধ রয়েছে। আমরা জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাই না। চার সদস্যের সংসারে দোকান বন্ধ থাকলেও খাওয়া বন্ধ নেই। হঠাৎ বন্ধ হওয়ার কারণে সংসারে তেমন সঞ্চয় না থাকায় দুবেলা দুমুঠো খবারের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি কোন সহযোগিতা এখন পর্যন্ত পাই নাই। এভাবে চলতে থাকলে করোনার হাত থেকে বাঁচার চেয়ে না খেয়ে বেঁচে থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। অন্যান্য দোকানদারদের অবস্থাও একই রকম।
সরকারের প্রদত্ত সহযোগিতার একটা অংশ এ ধরনের দোকানদারদের মধ্যে বন্টন করা গেলে হয়তো এরা উপকৃত হতো। বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সকল মহলকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
গোলাম মাহবুব
কলেজ শিক্ষক ও সাংবাদিক
মাশুন্দিয়া, বেড়া, পাবনা।