আবদুল্লাহ আল মোহন
১. যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকার ভাসানটেক সরকারি কলেজে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হয়েছে। ২৬ মার্চ ২০২১ শুক্রবার সকাল ৯.৩০ মিনিটে আয়োজনের শুরুতে কলেজের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি স্মারক ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ ম্যুরালে পুষ্পস্তবক প্রদান করা হয়। পরে কলেজের স্বাধীনতা মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনলাইনেও আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। আলোচনা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় কৃতিদের মাঝে পুরস্কার প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাদ জুম্মা বিশেষ দোওয়া মাহফিলেরও আয়োজন করা হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২১ পালন কমিটির আহ্বায়ক এবং অনুষ্ঠানের মূল সভাপতি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সরদার তানভীর রহমানের পিতার ২৫ মার্চ ২০২১ রাতে আকস্মিক প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনাও করা হয়।২.অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন ভাসানটেক সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন। শিক্ষার্থীরা ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো: বজলুর রহমান রফিক, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আতিয়া খন্দকার, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নুপূর দত্ত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মোহন। অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিলরুবা আফরোজ।৩.অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন বলেন, ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী। এই দিনটিকে ঘিরে রয়েছে অনেক দুঃখ-কষ্ট-বেদনা, রয়েছে অনেক উচ্ছ্বাস, আবেগ, অনুভূতি আর আনন্দবেদনার মিশ্রণ। অনেক ত্যাগ, অনেক সংগ্রাম, অনেক রক্তের বিনিময়ে এসেছে এ স্বাধীনতা। সেজন্য এদেশের বীর যোদ্ধা যারা দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করেছেন, সম্ভ্রম হারিয়েছেন, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন সেসব বীর সূর্য সৈনিকদের জানাই অজস্র সালাম আর শ্রদ্ধা। তিনি সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত থেকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সুশিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনার জন্য সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার প্রতিও জোর দেন। সুশৃঙ্খলভাবে জীবন গড়ে তুলতে আরো বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশকে ভালোবাসলে কোন প্রকার অন্যায়-অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে, তবেই সকলের কল্যাণ হবে। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম চিরকাল বাঙালি জাতিকে পথ দেখাবে।৪.আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তাগণ বলেন, ইতিহাসকে জেনে, ইতিহাসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমাদের স্বাধীনতার মর্মবাণী পুনরুচ্চারণ করতে হবে। স্বাধীনতা মানে শুধু পরাধীনতা থেকে মুক্তি নয়। স্বাধীনতা হলো স্বাধীন রাষ্ট্রে সার্বভৌম জাতি হিসেবে মাথা তুলে থাকার সব আয়োজন। যে দিন জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায় নির্বিশেষে দেশের সব জনগণ প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক পরিবেশে নিজেদের নাগরিক অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে বাস করতে পারবে, সে দিনই স্বাধীনতাকে পরিপূর্ণ সফল বলে মনে করা যাবে। প্রতিক্রিয়াশীলতার সব বাধাকে অতিক্রম করে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সাম্যমৈত্রীর বাংলাদেশ গড়ব- স্বাধীনতা দিবসে এ হোক আমাদের সংকল্প।৫.স্বাধীনতার ৫০ বছরে ‘অর্জনের বাংলাদেশ’ নিয়েও আলোচকগণ মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। তারা উল্লেখ করেন হাঁটিহাঁটি পা পা করে স্বাধীনতা অর্জনের ৫০টি বছর পার হতে চলেছে। আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ- স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। রূপকল্প ২০২১-এর এ বছরটি একটু ব্যতিক্রমী এ কারণে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। ২০২১-এর বাংলাদেশ আজ অন্য রকম এক বাংলাদেশ। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিশ্ব নেতাদের মতে, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল, কারো মতে, অফুরন্ত সম্ভাবনার এক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীতে আমরা অন্যরকম এক বাংলাদেশকে দেখছি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। পরাজিত হয় একসময়ের সমৃদ্ধ দেশ পাকিস্তান। সেই পাকিস্তানের চেয়ে এখন প্রায় সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। অনেক ক্ষেত্রে ভারতের থেকেও এগিয়ে। বিভিন্ন পরিসংখ্যানেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। অথচ ভারত-পাকিস্তানের অনেক পরে জন্ম হয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। কিন্তু স্বাস্থ্য-শিক্ষার দিক দিয়ে ছাড়িয়ে গেছে ভারত-পাকিস্তানকে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে জিডিপি ও মাথাপিছু জিডিপি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।৬.আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তাগণ বলেন, আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে এটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। যদিও ৫০ বছর একটি জাতির জীবনে খুব বড় পরিসর নয়। গড় আয়ুর নিরিখে হয়তো একটি প্রজন্ম মাত্র। তারপরও পরাধীনতার শিকল ভেঙে বেরিয়ে আসা সহস্র বছরের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ আত্মমর্যাদায় বলীয়ান একটি জাতির সামনে অর্ধশতাব্দীর মাইলফলকের সাক্ষী হতে পেরে আমরা গর্বিত। রাষ্ট্রভাষার অধিকার লাভে বাঙালিকে প্রাণ দিতে হয় ১৯৫২ সালে। এরপর পাকিস্তানিদের ক্রমাগত শোষণ-বঞ্চনা, বৈষম্য, অধিকার হরণ বাঙালির ক্ষোভকে ক্রমেই জমাট করে। ১৯৬৬-এর ৬ দফা, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান- এসবের ধারাবাহিকতায় আসে ১৯৭০ সালের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে এবং সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাকিস্তানের স্বৈর-সামরিক চক্র গণতন্ত্রের রায় মেনে না নিতে শুরু করে নানান টালবাহানা, চালাতে থাকে নানান ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত। সারা বাংলার মানুষের প্রাণের দাবি শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা পরিণত হয় এক দফায়। শুরু হয় অহিংস অসহযোগ আন্দোলন। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ জাতির চাওয়া ভাষা পায় বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণে, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এরপর মুক্তিপাগল মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা অর্জন করে। ২৫ মার্চ রাতেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করে যান। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা যখন প্রচারিত হয় তখন মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে অর্থাৎ ক্যালেন্ডারের হিসাবে তখন ২৬ মার্চ। এ কারণেই আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। দীর্ঘ ৯ মাসের সেই যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়, সম্ভ্রম হারায় ২ লাখ মা-বোন। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত মিত্রবাহিনীর কাছে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনী। অর্জিত হয় স্বাধীনতা। কিন্তু ইতিহাসের নির্মম অধ্যায় হলো- স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মাথায় পরাজিত গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। জেলখানায় হত্যা করা হয় জাতীয় ৪ নেতাকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধগুলোর মূলে শুরু হয় কুঠারাঘাত। গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদের শিকড় উপড়ে ফেলার নীলনকশার বাস্তবায়ন চলে। কয়েক দশক ধরে স্বাধীনতার ইতিহাস নানাভাবে বিকৃত করা হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে সেই ধারা থেকে বেরিয়ে এসেছে দেশ। চেষ্টা চলছে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে নেয়ার। আশার কথা যে, আজকের তরুণরা বাংলাদেশের শিকড়ের সন্ধান করেছেন। ৭.আলোচকগণ উল্লেখ করেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পূর্ণ হলো। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শিশু ‘খোকা’ মুজিব গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে। তার জন্য আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই মহান নেতাকে আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তারা বলেন, কিশোর বয়সেই মুজিবের সংবেদনশীল হৃদয় ও মানবিক মূল্যবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। একদিকে সৎ সাহস, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতা, অন্যদিকে গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা, তাদের দুঃখ-দৈন্য লাঘবের সংকল্প তাকে অবধারিতভাবেই রাজনীতিতে নিয়ে আসে। স্কুলে পড়া অবস্থায়ই তার মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটতে দেখা যায়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পরপর নতুন রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন মুজিব। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮-এর আইয়ুব সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে ১৯৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬ দফা স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারারুদ্ধ হন তিনি। হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। ১৯৬৯-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়। ১৯৭০-এর নির্বাচনে বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার পক্ষে জানায় অকুণ্ঠ সমর্থন। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির এ নির্বাচনী বিজয়কে মেনে নেয়নি। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশের আপামর জনগণ ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছে বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। ১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু সেই সুযোগ বেশি দিন পাননি। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের তপ্ত বুলেটে সপরিবারে নিহত হন বাঙালির এই অবিসংবাদিত নেতা। শুরু হয় দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীত দিকে নিয়ে যাওয়ার পালা। ১৯৭৫-পরবর্তী ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অনেক চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সবই ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলের সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। আজকের দিনে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই মহান নেতার জীবন ও আদর্শ অনুসরণে এ দেশের শিশু-কিশোরদের যথাযোগ্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই হোক আজকে আমাদের অঙ্গীকার।৮.আলোচকগণ জানান, বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারির ফলে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশ অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বলে আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই মনে করছেন। করোনা মোকাবিলা সক্ষমতায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ও বিশ্বে ২০তম। এ অভূতপূর্ব অগ্রগতি আমাদের ধরে রাখতে হবে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকগুলো আমাদের তা মনে করিয়ে দিচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারা সম্ভব হয়েছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে অভাবিত উন্নয়ন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ফলে। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছি। আমাদের এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে। উন্নয়নের এ গতিধারা কেউ রোধ করতে পারবে না। এ দেশের স্বাধীনতাকামী সব মানুষের এটাই চাওয়া।
আবদুল্লাহ আল মোহন সহকারী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এবং আহ্বায়ক, মুজিববর্ষ পালন কমিটিভাসানটেক সরকারি কলেজ, ঢাকা।