ফজলে রাব্বি, নাটোর নলডাঙ্গাঃ মসজিদের মোয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল শিশু বলাৎকারের। পুলিশ ওই মোয়াজ্জেমকে ধরতে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মসজিদে চলছিল আসরের আজান। ওই অবস্থায় কেউ তাকে খবরটি দেয় এদিকে পুলিশ আসছে। আজান অর্ধেক দেওয়ার পর বাঁকি অংশ শেষ না করেই পালিয়ে পাশের আখ ক্ষেতে আত্মগোপন করেন তিন।
শনিবার (২জুলাই) নলডাঙ্গা উপজেলার শাখাঁড়ীপাড়ার গ্রামে বিকেলে এমন ঘটনা ঘটে।
এরপর আখ ক্ষেত থেকে পাট ক্ষেত- এভাবে জায়গা পরিবর্তন করতে থাকেন ওই মোয়াজ্জেম। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে বিপুল পরিমাণ পুলিশ স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন প্রায় ২০ বিঘা পাট ও আখ ক্ষেত। অবশেষে দীর্ঘ শ্বাসরুদ্ধ অভিযানে আটক হন ওই মোয়াজ্জেম। ঘটনাটি ঘটেছে নলডাঙ্গা উপজেলার শাখাঁড়ীপাড়া এলাকায়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত ওই মোয়াজ্জেমের নাম আব্দুস সালাম। তিনি উপজেলার শাখাঁড়ীপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা এবং শাখাঁড়ীপাড়া জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম।
তিনি আরো জানান, বেশ কিছুদিন আগে ওই মোয়াজ্জেমের স্ত্রী মারা যায়। এরপর থেকে বাড়িতে একা থাকতেন তিনি।
তিনি একই গ্রামের প্রতিবেশীর ৫ বছর বয়সী শিশু ছেলেকে বেশ কয়েকদিন ধরে মোবাইলে গেম খেলার লোভ দেখিয়ে নিজ ঘরে বলৎকার করে আসছিল। শনিবার (২ জুলাই) সকালে ওই শিশু সন্তানকে আবারও বলৎকার করলে শিশুটি রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে অসুস্থ শিশুকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হলে বিকালে পুলিশ তাকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে।
মামলার আইও এসআই মোশাররফ হোসেন জানান, ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর দাদী বাদী হয়ে মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। রবিবার (৩ জুলাই) ওই আসামিকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।