পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সাঁথিয়ার সাবেক ইউএনওসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পাবনা জজ কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছেন ক্ষেতুপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদসহ তার ৪ ভাই ও এক বোন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া মৌজার ৪৩৭৫ আরএস দাগ নং এ ১.৪১ একর ফসলি জমির উপর মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করেন সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন। বাদীগণ আদালতে গত ১৪ ডিসেম্বর জমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিবাদীগণের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন যা ২১ ডিসেম্বর বিবাদীগণ পান।
বিবাদীগণ আদালতে উপস্থিত হয়ে জবাব না দিয়ে নালিশী ভূমিতে পাকাঘর নির্মাণ করার জন্য ইট,বালু আনেন। পরে বাদী চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আদালতে দেওয়ানি কার্যবিধি আইনে ১৫১ ধারা মোতাবেক অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের নালিশী ভূমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ প্রদান করেন। আদালতের স্থিতিবস্তা নির্দেশ অমান্য করে বিবাদীগণ ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নালিশী জমিতে ভূমিহীনদের টিনসেড পাকাঘর জোরপূর্বক নির্মাণ করেন। বাদীগণ ৭ মার্চ আদালতে স্থিতিবস্থার আদেশ স্থায়ীকরণের আবেদন করেন। আদালত নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত নিষ্পত্তিকাল পর্যন্ত উভয়পক্ষকে নালিশী ভূমিতে স্থিতিবস্থার আদেশ বর্ধিতকরণের আদেশ প্রদান করেন। বাদীগণের বিবরণে আরও জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল ৪ নং বিবাদী সাঁথিয়া সাব-রেজিস্ট্রির অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৩৫২২ নং কবুলিয়ত দলিল নান্নু মিয়া দিং বরাবর রেজিস্ট্রি করে দেন। কবুলিয়ত দলিল ছাড়াও ১৬ খÐ (টি) কবুলিয়ত দলিল গত ১৭ মার্চ রেজিস্ট্রি করে আদালতের স্থিতিবস্থার আদেশ অমান্য করেন। আদালতের আদেশ অমান্য করায় ১১ আগস্ট বৃহষ্পতিবার পাবনা জেলা যুগ্ম জজ আদালতে জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিমুল আক্তার, সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সাবেক) এসএম জামাল আহমেদ, সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মনিরুজ্জামান ও ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল করিম লাভলুর বিরুদ্ধে দেওয়ানী কার্যবিধী আইনের ৩৯ আদেশের ২(৩) নং বিধি মোতাবেক আদালত অবমাননা মামলা করেন সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া গ্রামের মৃত তোরাব আলীর ছেলে মোঃ হামিদ, শাহজাহান আলী, বাবর হোসেন, টিপু হোসেন, দিদার হোসেন ও মেয়ে শামসুন্নাহার যার নং ৬/২২। মামলার ধার্য তারিখ ১ সেপ্টেম্বর।
এ ব্যাপারে ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা।
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা প্রশাসকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।