নাছির হোসাইনঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র মেকানিক মোঃ ইদ্রিস আলী’র বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের টিকার এসএমএসের ফাঁদে ফেলে বিদেশগামী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
টিকা পেতে অনলাইনে নিবন্ধন শেষে এসএমএস পাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে ইদ্রিসের প্রবাসীদের টার্গেট। এসএমএস আটকে রেখে দ্রুত এসএমএস প্রাপ্তির প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুইশত থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিদেশগামীদের কাছে থেকে।
জানা যায়, সাধারণত বিদেশগামীদের টিকা গ্রহণে বাধ্যবাধকতা ও তাড়া থাকে। তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসে, কারো কারো বিমানের টিকিট কাটা থাকে। বিদেশগামীদের টিকা গ্রহণে এ তাড়ার সুযোগ নিয়ে ঘুষ নেওয়ার ফাঁদ পেতে বসে আছে সে। আর এভাবে বেশ কিছুদিন ধরে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ভুক্তভোগীদের হাত থেকে সরাসরি ঘুষ নেওয়ার ভিডিও এই প্রতিবেদকের কাছে আছে। বিদেশগামী কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, ঘুষ না দিলে এসএমএস দিতে অনেক জটিলতা দেখান ইদ্রিস আলী, আর ঘুষ দিলে তাৎক্ষণিকভাবে এসএমএস দিয়ে দেন। এই জন্য বাধ্য হয়েই আমরা টাকা দিয়ে এসএমএস কিনে করোনার বুষ্টার ডোজ টিকা নিচ্ছি।
জুনিয়র মেকানিক ইদ্রিস আলী বলেন, আমি এসএমএসের জন্য কোন টাকা নেইনি। তবে বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন জন্য খরচ হয় সেই টাকা নিছি। সেই টাকা নেবার ভিডিও কেউ একজন করেছে। তবে তিনি ভুল স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদৌস বৈশাখী বলেন, এবিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। করোনার এসএমএস দেওয়া নিয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।