ইব্রাহিম খলীল: পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদে সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটির সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ ঘটিকায় দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের চত্বর প্রাঙ্গণে এই সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটির সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোহাঈম্মীন হোসেন চঞ্চল মাস্টার এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান , স্থানীয় মসজিদের পেশ ইমাম নয়ন মোল্লা, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর প্রতিনিধি শ্রী শান্ত কুমার শাহা, মো: আব্দুর রাজ্জাক ইউপি সচিব, মোঃ সাইদুর রহমান সহ-ইউপি সচিব, মোছা: নিহারা খাতুন সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য, মাদ্রাসার সুপার মাসুদ রানা, মহিউদ্দিন মুরাদসহ প্রমুখ।
এছাড়াও উক্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দেবোত্তর ইউনিয়নের সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটির সভাপতি মোহাঈম্মীন হোসেন চঞ্চল বলেন, সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হলো নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যকার সম্প্রীতি ও ভালোবাসা। আমাদের সমাজে বহু ধর্ম, ভাষা ও জাতির লোক বসবাস করে। সমাজে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাব হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
তিনি আরও বলেন, মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিগন এ জীবনে যথাযথভাবে এগুলো অনুশীলন করে থাকবেন। ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। ভাতৃত্ববোধ মানুষকে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করে, মানুষের মধ্যে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। এরফলে মানব সমাজের ঐক্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হয়।
অন্যদিকে সম্প্রীতি- ভাতৃত্ববোধ না থাকলে মানুষ একে অন্যকে ভালবাসে না। অন্যের কল্যাণ কামনা করে না। স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের প্রতি অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। তারা আসলে মানুষের চরিত্র বহন করে না।