এম এ হাই: দুর্গাপূজাকে ঘিরে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা । কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এখন চলছে রং তুলির কাজ। কে কত ভালো প্রতিমা তৈরি করে ভক্তদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পরে তার প্রতিযোগিতা চলছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় ও অন্য জেলা থেকে কারিগর নিয়ে এসে প্রতমা তৈরি করছে পূজা মন্ডপ কমিটি।
উপজেলার ধোপাদহ গ্রামের প্রতিমা কারিগর পবন চন্দ্র পাল বলেন, এটা আমাদের বাপ দাদার পেশা। আমি দীর্ঘ ১৫ বছর এই কাজ করে আসছি। বিগত বছর করোনা মহামারির কারণে ঢিলাঢালাভাবে দায় সেরেছিল পূজা মন্ডপ কমিটি। এ বছর আশায় বুক বেধেছিলাম, কিন্তু বৈশ্বিক যুদ্ধের কারণে সব কিছুর দাম বেড়েছে। তাই খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবারও লোকসান গুনতে হবে। স্থানীয় পূজা কমিটিও এ বাজেট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
সাঁথিয়া উপজেলা সংগীত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা রতন কুমার দাস জানান, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে এখন চলবে রং তুলির কাজ। দেবী দুর্গার সঙ্গে রয়েছেন কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও স্বরসতী। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত বাঘ ও অন্তরের কাজ শেষ করে প্রতিমাগুলোর রং তুলি আঁচরের কাজ করা হবে। রঙ তুলির আঁচড়ের পরেই প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে প্রতিটি প্রতিমা। সাঁথিয়া উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি বাবু সুশিল কামার দাস বলেন, এবার সাঁথিয়া উপজেলায় মোট পুজা মন্ডপের সংখ্যা ৫২ টি। মৃৎশিল্পীদের মজুরি ও সব জিনিসর দাম বেরে যাওয়ায় এবার ব্যয় বেশি হবে। সরকার আমাদেরকে বেশ কিছু বিধি নিষেধ পালনের কথা বলছেন যাতে করে সুশৃঙ্খল ভাবে পুজা সম্পন্ন করা যায়।