ওয়াহিদুজ্জামান বিশেষ প্রতিনিধিঃ বেড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ।
গতকাল বুধবারর (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে তারা হামলার জন্য সাবেক
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নায়েব আলীকে দায়ি করেছেন।
মানববন্ধন থেকে মোঃ নায়েব আলীকে একজন দুর্ণীতিবাজ,চরিত্রহীন ও সন্ত্রাসী হিসেবে অাখ্যায়িত করে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে বিচার দাবি করেছন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ অবিভাবকবৃন্ধ।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান,তিনি গতসোমবার(২১ নভেম্বর) সোমবার দপ্তরিক কাজে রাজশাহী যাচ্ছিলেন।সকাল পোনে সাতটার দিকে বেড়া সিএন্ডবি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পৌছামাত্র তিনি হামলার শিকার হন। দুর্ণীতি ও নৈতিক চরিত্র খল্মনজনিত নানা অভিযোগ অভিযুক্ত বরখাস্তকৃত সাবেক ভারপ্রাপ্ত
প্রধান শিক্ষক নায়েব আলী তাকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেন।এসময় নায়েব আলী তার সাথে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। ওই ব্যাগের ৫০হাজার টাকা ও বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল বলে তিনি জানান।এ বিষয়ে তিনি সাঁথিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন ।
এদিকে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করা হয়েছে এ সংবাদ বিদ্যালয়ে পৌছলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষর্থীদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দেয়।তারা ঘটনার সাথে জড়িত সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নায়েব আলীকে গ্রেফতার পূর্বক বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ সদস্য মোঃ আব্দুস সালাম বলেন,সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নায়েব আলীকে দুর্নীতি অর্থআত্মসাৎ নৈতিকচরিত্র খম্লন জনিত বিভিন্ন অভিযোগ বরখাস্ত করার পর থেকেই তিনি নানাভাবে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে হুমকি দিচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুর্ণীতিদমন কমিশনে তিনলক্ষ টাকার চেক জালিয়াতির মামলাসহ বেশ কিছু অভিযোগ তদন্ত চলমান রয়েছে, এমন অবস্থায় তিনি এমন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্মদিয়ে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করেন ।তিনি ওই হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেন।
বিদ্যালয়ের এমএলএ(আয়া)ছবি রানী সূত্রধর বলেন, তিনি বিদ্যালয়ে যোগদানের পরথেকেই সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নায়েব আলী তাকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। নানা অনৈতিক কাজে সায় না দেয়ায় তিনি তাকে বরখাস্তও করেছিলেন। তার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তিনি চাকরি হারিয়ে দুইবছর অত্যান্ত মানবেতর জীবন কাটিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের দপ্তরি মনিরুল ইসলাম অভিযোগে বলেন,নায়েব আলী তাকে প্রায় সময়ই বিভিন্ন অনৈতিক ফরমায়েশ করতেন। তার সেই ফরমায়েশ না শুনলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতেন।বিদ্যালয়টিকে তিনি নিজের ব্যক্তি সম্পদের মতো ব্যবহার করতেন।
ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণী শিক্ষার্থী– বলেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নায়েব আলী তাকে সবসময় মানষিক নির্যাতন করতেন।তিনি তার মাধ্যমে তার মাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তাকে বাবা ডাকতে বাধ্য করতেন।তিনি এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের কাছে দাখিল করলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হন এবং তাকে টিসি দিয়ে বিদ্যালয়থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন।
অভিযোগের বিষয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নায়েব আলী বলেন,তার বিরুদ্ধে অানিত অভিযোগ সম্পুর্ন বানোয়াট সাজানো নাটক ও কাল্পনিক। তিনি ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক থাকাকালীন সময় অত্যান্ত সততা ও স্বচ্ছতার স্বাক্ষর রেখেছেন যা এলাকাবাসী ও সচেতন অভিবাকমহল জানেন।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন,এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগটি সাধারণ ডায়রি হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে।খুব অল্পসময়ে মধ্যে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।