আরিফ খাঁন: পাবনার বেড়া উপজেলার মাশুন্দিয়া ভবানীপুর কেজেবি ডিগ্রি কলেজের বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাসের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপারিশ করে চিঠি প্রেরণ করেছেন পাবনা জেলা প্রশাসন। গত ৫ ডিসেম্বর তারিখে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শিক্ষা ও কল্যাণ শাখার সহকারী কমিশনার লুৎফুন নাহার শারমিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
উল্লেখিত চিঠি থেকে জানা যায়, আব্দুস ছালাম বিশ্বাস কলেজ গভর্নিং বডির সদস্যদের ভুল তথ্য দিয়ে স্থানীয় এমপিকে ম্যানেজ করে গত ২৯-০৬-২০১৯ তারিখ থেকে ১৯/১১/২০২২ তারিখ পর্যন্ত একটানা প্রায় সাড়ে তিন বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিভিন্ন ভূয়া বিল ভাউচার তৈরি করে, ব্যাকডেটে নিয়োগ-বাণিজ্য করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি তদন্ত করে জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্তে আব্দুস ছালাম বিশ্বাসের দূর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণিত হলে জেলা প্রশাসন গত ৫ ডিসেম্বর কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতিকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন এবং সেই সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে আব্দুস ছালাম বিশ্বাসকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি ফোনে কোনপ্রকার কথা বলবো না।
কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল আজিজ খান বলেন, আমি নতুন সভাপতি হয়েছি। তাই নিয়ম জানতাম না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিলে গত ২০ নভেম্বর আব্দুস ছালাম বিশ্বাসকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সাবেক অধ্যক্ষ ছালাম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দিয়েছে। সে যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে তার শাস্তি হোক।