সোবহান শিকদার : করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে আমিনপুর থানার বিভিন্ন হাট-বাজারকে আলাদা করে বসানোর এখন উপযুক্ত সময়। আমিনপুর থানার শ্যামগঞ্জ, বাধেঁরহাট, কাজিরহাট বাজার, আমিনপুর বাজার, খলিলপুর বাজারসহ অনেক হাট-বাজার রয়েছে। আমিনপুর থানার বেশিরভাগ বাজারগুলি সপ্তাহজুড়ে বসে। আর হাটগুলি সপ্তাহে দু-তিন করে বসে। হাট-বাজারে আসা ৭৫%মানুষ এখনো করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতন না। করোনা বিস্তার রোধে এখন সময় এসেছে হাট-বাজারগুলি আলাদা আলাদা করে বসানোর। যেমন- এক জায়গা মাছ বাজার বসিয়ে নির্দিষ্ট সীমা রেখে দিতে হবে। যেন ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে কয়েক ফিট ব্যবধান থাকে। এমন কি একজন ক্রেতা থেকে অন্য ক্রেতা একটা নির্দিষ্ট ব্যবধানে দাঁড়িয়ে তার প্রয়োজনীয় বাজার করতে পারেন। এভাবে মাঝ বাজার থেকে কয়েক গজ দূরে অন্য বাজার বসানো যেতে পারে। এভাবে যদি সবজি বাজার , কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য বাজার বসানো যায়। তবে করোনা ভাইরাস থেকে হাজার হাজার মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব। করোনামুক্ত রাখার জন্য এমন উদ্যোগে এখন সময়ের দাবী। যেহেতু আমিনপুর থানায় এখন পিয়াজসহ অন্যান্য মৌসুমি ফসলের সময়। আর এই থানার লোকজন বেশিরভাগ কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। সে জন্য হাট বাজার বন্ধ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। কেননা কৃষক তার উৎপাদিত সোনালী ফসল বিক্রয় করে সংসার চালায়। আর এই কৃষি পণ্যের উপর নির্ভর করেই সকল হাট বাজার বসে। মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার কথা চিন্তা করে হাট-বাজার বন্ধ করাও সম্ভব নয়। আমিনপুর থানাধীন প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যান উদ্যোগ গ্রহণ করলে একদিনেই বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।