Saturday, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধারবেড়ায় বালুবাহী ড্রাম ট্রাক চাপায় ঠিকাদার নিহতমহাসড়কের দুপাশের গাছ চালক-যাত্রীদের আতঙ্ক

বেড়ার সেই বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের তদন্ত অনুষ্ঠিত

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাবনার বেড়া উপজেলার মাশুন্দিয়া-ভবানীপুর কেজেবি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাসের অবৈধভাবে দায়িত্ব পালন, ব্যাকডেটে নিয়োগ নিয়োগ-বাণিজ্য ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ দত্তের ভারতে বসবাস করেও বেতন উত্তােলনের বিষয়ে বুধবার (১৭ আগস্ট) বেড়া উপজেলা প্রশাসনের একটি তদন্ত দল তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন।
গত ৬ ও ৭ আগস্ট বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াসহ অনলাইন নিউজপোর্টালে ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রচার হয়। এ ঘটনায় বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা. সবুর আলী গত ৮ আগস্ট বেড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খবির উদ্দীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খবির উদ্দিনের নেতৃত্বে কমিটির অপর দুই সদস্য বেড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কাওছারুল আলম

ও বেড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কফিল উদ্দিন সরকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক বুধবার (১৭ আগষ্ট) বেলা ১১ টার দিকে কলেজে উপস্থিত হন।
এ সময় পাবনা থেকে কয়েকজন সংবাদকর্মী সংবাদ সংগ্রহের জন্য কলেজে উপস্থিত হলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষক তাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন এবং বলেন, সাংবাদিকরা যা পারেন কলেজের বাইরে গিয়ে করেন। কলেজের ভেতরে খবরদার ঢুকতে পারবেন না।
কয়েক শিক্ষক এ সময় সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগে জানান, তদন্ত কমিটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে অভিনব কায়দায় দায়সারা তদন্ত করে গেছেন। কয়েকজন শিক্ষক অভিযাগে জানান, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাসের নির্দেশমত তদন্ত কমিটির প্রধান মো. খবির উদ্দিন শিক্ষকদের দিয়ে সাদা কাগজে মতামত লিখে নেন। তার আগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিক্ষকদের বলেন, আপনারা সবাই তদন্ত কমিটির কাছে আমাদের পক্ষে সবকথা সাদা কাগজে লিখে দেবেন। শিক্ষকরা কলেজ কর্তৃপক্ষের ভয়ে কাগজে তাদের পক্ষে লিখতে বাধ্য হন।
অভিযোগকারী শিক্ষক মান্নাফ সরকারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, যেহেতু দুদক কর্মকর্তারা ইতোপূর্বে তদন্ত করে গেছেন, সেহেতু আজকের তদন্ত কমিটি ইচ্ছে করলেই অসত্য রিপোর্ট দিতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিধি বহিভূতভাবে গত ৩ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃত/অধিভুক্ত বিষয়ের শিক্ষক ছাড়া কেউ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে থাকতে পারবেন না বলে ২০১৯ সালে ও ২০২২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে। অথচ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস উচ্চ মাধ্যমিকের পঠিত বিষয়ের শিক্ষক হওয়ার পরেও ওই প্রজ্ঞাপনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে গভর্নিং বডিকে ম্যানেজ করে দায়িত্বে থেকে কলেজে অনিয়মের রাজস্ব কায়ম করে চলেছেন। কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ দত্ত পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে সপরিবারে বসবাস করছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। অথচ তিনি ওই কলেজে স্বপদে চাকরি করছেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস আর্থিক সুবিধা ভোগ করে মানবিক কারণ উল্লেখ করে বিশ্বনাথ দত্তকে অনৈতিক এই সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। কলেজের ডিগ্রি স্তরের তৃতীয় শিক্ষক মীর তরুণকে জোরপূর্বক চাকরীচ্যুত করে তার স্থানে সীল-স্বাক্ষর জাল করে ব্যাকডেটে (পেছনের তারিখ) শামসুন্নাহার নামের একজনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খবির উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, অভিযুক্ত বিশ্বনাথ দত্ত অসুস্থতার কারণে গত ৫ বছর ধরে ভারতে যাতায়াত করেন সত্য। গত ৮ মাস একটানা তিনি দেশের বাইরে ছিলেন, সে প্রমাণও পাওয়া গেছে। ওই ৮ মাস কলেজ কর্তৃপক্ষ কিভাবে ছুটি মঞ্জুর করলেন- সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। এবিষয়ে আরও খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারবো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিধিবহির্ভূতভাবে কিভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস দায়িত্বে রয়েছেন- এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও স্যারের সাথে আলোচনা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে। রবিবারের দিকে তদন্ত প্রতিবেদন মিডিয়াকে জানাতে পারবো বলে তিনি জানান ।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর