আবদুল্লাহ আল মোহন
১.
আমার কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে, বিশেষত মঙ্গল আসরের সৃজনশীল আয়োজনে, আলোচনায় মাঝে মাঝে তাঁর মতোন মানুষদেরকে জীবনজয়ী হওয়ার উদাহরণ হিসেবে নানা উদ্দীপনায় তুলে ধরি। তাদেরকে বলি- মনে রাখবার মতোন মানুষদের জীবনী ও কর্ম নিয়ে কারবারী এই আমার কাছে প্রবল প্রতিকূলতা আর নানা সীমাবদ্ধতাতেও অসীম সাহস, প্রবল পরিশ্রমের মাধ্যমে, সততাকে একান্ত সঙ্গী করে আপন স্বপ্নকে জয় করবার দৃঢ় মনোবলের অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের নামই বাবলু কুমার সাহা। সকলের কাছে অনুকরণীয় স্বপ্নবান সমাজকর্মী, শিক্ষার প্রতি আজন্মের অকৃত্রিম প্রীতিময় প্রিয় ব্যক্তিত্ব বাবলু দা’র (জনাব Bablu Saha, বাবলু কুমার সাহা) নানামাত্রিক কাজ, অবদানকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়ে ধন্য হয়েছি বলেই সংশয়হীনভাবে স্বীকার করছি। আজ আমার এই প্রিয় ও শ্রদ্ধার মানুষটির জন্মদিন। শুভ জন্মদিন দাদা। প্রিয়জন বাবলুদা যখন যে দায়িত্বই পালন করেছেন, সেটাতেই সাফল্য লাভ করেছেন, যেমনটি করতে দেখছি তাঁর বর্তমান পদেও। দাদা, আপনার শুভচিন্তার নিরন্তর জয় হোক, আপনার কাজের মাধ্যমে দেশের জনগণের কল্যাণ বৃদ্ধি হোক। জন্মদিনে প্রিয় দাদা, আপনার সুস্বাস্থ্য, নিরন্তর শুভ কামনা এবং অবশ্যই জীবনানন্দময় দীর্ঘায়ু প্রত্যাশা করি।
২.
‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়ো’ বাণীর সফল জীবনশিল্পী বাবলুদা অসম্ভব পরিশ্রমী মানুষ বলেই আজ অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। তিনি আমার দৃষ্টিতে অনুকরণীয় অনন্য ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন তাঁর নানান গুণাবলির কারণেই। তিনি আজন্মের যোদ্ধা, জীবন সংগ্রামী। তিনি তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন সংগ্রামী মানুষ। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন তাঁর জীবনের স্বপ্নকে, গতিপথকে বিপর্যস্ত, বিভ্রান্ত করতে পারেনি, পথের সঠিক ঠিকানাটি শৈশবেই চিনতে পেরেছিলেন বলেই জ্ঞানশক্তি বৃদ্ধির আকুতি কখনোই কমেনি। প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলেছেন বলেই প্রত্যাশিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন। নিজের অস্তিত্বকে কখনোই ভোলেননি বলেই প্রমত্তা যমুনার ভাঙ্গনে বিপর্যস্ত পাবনা জেলার নগরবাড়ী ঘাট সংলগ্ন ব্যবসায়ী পরিবারের এই কৃতি সন্তান আজো অকৃত্রিম ভালোবাসায় নিজের এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সাথে পাচ্ছেন তাঁর প্রিয় মানুষ, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সেলিম স্যারসহ (বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল বাতেন) প্রিয় ও শ্রদ্ধার মানুষ শিক্ষকদের, স্থানীয় অভিভাবকদের এবং দানশীল বন্ধু ডা. অমিতসহ অন্যান্য বন্ধু-বান্ধব-স্বজনদের সকলের।
৩.
স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার। তাঁর চিকিৎসক কন্যা স্বামীর সাথে আমেরিকা প্রবাসী। আর ছেলেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনে। দাদার আর আমাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো- তাঁর পিতা-মাতা আজো প্রীতির স্নেহাশিষ ছায়া-মায়ায় সংসারকে আলোকিত করে রাখছেন। বাবা-মায়ের প্রতি তাঁর দায়িত্ববোধ, অকৃত্রিম শ্রদ্ধাজ্ঞাপন সত্যিকার সুসন্তানের বিরল দৃষ্টান্ত বলেই স্বীকার করতে একটুও দ্বিধা নেই আমার মতোন এলাকার কারোরই। এই আনন্দময় জীবন যাপন অনন্তকালের হয়ে উঠুক, দাদার জন্মদিনে এই কামনা করি কায়মনবাক্যে। তিনি বড় ভাই হিসেবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতিও যথেষ্ট যত্নশীল। পারিবারিক মূল্যবোধকে ধারণ করেন এবং আচরণেও তার বহি:প্রকাশ ঘটে, অকৃত্রিম আন্তরিকতার প্রমাণ মেলে।
৪.
বাবলুদা বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । শিক্ষার প্রতি তাঁর আগ্রহ, বিশেষ দুর্বলতা, সুনজর আজন্মের। প্রতিনিয়তই শিক্ষার মানোন্নয়নে ভূমিকা পালনের প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ লক্ষ্য করি। স্বাস্থ্য শিক্ষার দায়িত্ব পালনেও সেই ইতিবাচক ভূমিকা আরো জোরালো হবে বলেই প্রবল আশাবাদী আমি। কারণ অতীতে তিনি শুধুমাত্র দশটা-পাঁচটার চাকুরী করেননি, সৃজনশীল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে, প্রকৃত জনসেবক হিসেবে অর্পিত দায়িত্বকে সেবা হিসেবে মনে প্রাণে, আন্তরিকভাবে গ্রহণ করতে দেখেছি। সর্বোচ্চ নিষ্ঠায় সর্বোত্তম সেবাদানকে নিষ্ঠাবান ধার্মিকের মতোন মহান ব্রত হিসেবে পালন করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তাঁকে যারা চেনেন, জানেন তারাই স্বাক্ষ্য দেবেন আমি একটুও বাড়িয়ে বলছি কী না। তাঁকে ভালোবাসি যেম তেমনি শ্রদ্ধাও করি তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা আর সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে। সময়ের কাজ যথাসময়ে যেমন করে থাকেন তেমনি দ্রুততার সাথে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও সিদ্ধপুরুষ তিনি। সরকার ও রাজনীতির ছাত্র হিসেবে খেয়াল করেছি বাবলুদা একজন প্রজ্ঞাবান প্রশাসক, তথাকথিত ‘আমলা’ হয়ে উঠতে পারেননি, অপ্রয়োজনীয় জটিলতার দায়ভার চাপাতে ও বহনে মোটেই অভ্যস্থ নন। গণমুখী আধুনিক ধারণার জনপ্রশাসনের একনিষ্ঠ জনসেবক তিনি জনগণের মূল্যবোধ ও চাহিদাকে বোঝেন বলেই রাজনৈতিক সরকারের প্রণীত নীতিমালাসমূহ বাস্তবায়নে একনিষ্ঠ কর্মীর ভূমিকায় সদা সক্রিয়। গভীরভাবে তাঁর সাথে মেলামেশার ও কাজের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে তাঁর সততা, দক্ষতার নানা প্রমাণ পেয়ে শ্রদ্ধা ক্রমাগত বেড়েছে। তাঁর প্রতি সিনিয়র ও জুনিয়র সহকর্মীদের আস্থা আমাকে সবসময় খুশি করেছে। তার বিভিন্ন কর্মৃস্থলে ঘুরে বিভিন্নজনের সাথে আলাপকালে জেনেছি, তেমনটিই জেনেছি ছুটির দিন বলে তার কাছে কিছু নেই, যেমনটি করেছেন তিনি কাপ্তাই-এ দায়িত্ব পালনকালে। মধ্য রাত পর্যন্ত স্যার কাপ্তাই এ গ্রামের পর গ্রাম ঘুরেছেন। কাপ্তাইবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন তথা কাপ্তাই এর সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি সকলকে এক সূত্রে গেঁথে কাজ করেছেন। তার গ্রহণযোগ্যতা এতটা প্রবল ছিলো যে, কেউ তার কথা অমান্য করতেন না। কাপ্তাই এর পর তিনি শিক্ষা মন্ত্রনালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর এবং বর্তমানে স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসাবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
৫.
বাবলুদা’কে নিয়ে লিখতে গিয়ে মনে পড়ছে ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের ভয়াবহ সেই রাতের কথা। হাইস্কুলে পড়ুয়া তখনকার এই আমি আজো সেই সে রাতের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার স্মৃতি ভুলে থাকতে পারি না। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন জগন্নাথ হলের একটি আবাসিক ভবনের ছাদ ধ্বসে পড়লে সংঘটিত হয় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারান ৩৯ জন ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি। সেদিন সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর জেনে আমাদের দুই পরিবারেই আকস্মিকভাবে নেমে আসে আতংক, আশংকার মেঘ। তড়িঘরি করে দুই পরিবারের আমাদের কয়েকজন ছুটে আসেন ঢাকায়। বাবলুদা থাকতেন জগন্নাথ হলে আর মেঝভাই থাকতেন মহসিন হলে। কিন্তু বন্ধুত্বের অটুট বন্ধনের কারণে তাঁরা অনেক সময়ই একসাথে সময় কাটাতেন বলে আমরা জানতাম। বাবলুদা আমার মেঝ ভাইয়ের (স্বনামধন্য সাংবাদিক খায়রুজ্জামান কামাল) সতীর্থ ছিলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিলেন তারা, যেমনটি আজো সেই অমিয়ধারা প্রবাহমান থাকতে দেখি। আর তাই অজানা আশংকায় দুই পরিবারেই নেমে আসে মৃত্যুভয়, আতংক। সেই বৃষ্টিস্নাত দিনে-রাতে ক্লান্ত স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরে জানতে পারলেন তাঁরা দু’জনেই জীবিত এবং সুস্থ আছেন। সেই কালো রাতে আশাবাদী সংবাদের অপেক্ষায় থাক আমাদের দুটি পরিবারে সহাবস্থানের, সহমর্মিতার সম্প্রীতির স্মৃতি আজো আমাকে ঋদ্ধ করে, আত্মীয়তার ভালোবাসার আলোয় পথ চলতে উদ্দীপ্ত করে।
৬.
বাবলুদা সত্যকথাটি সকলের সামনে দৃঢ়কণ্ঠেই বলতে পারেন বলে মোটেই ‘অসুর’ নন, দারুণ সুর-সংগীত প্রেমিক এই মানুষটি। তাঁর সুরেলা কণ্ঠে যারা গান শোনার সুযোগ পেয়েছেন তারাই জানেন নিয়মিত শেখার, সাধনার সুযোগ না পেয়েও তিনি কতটা সুরসুধাময় কণ্ঠের অধিকারী। সুরের সাধনায় একান্ত নিমগ্ন তিনি শিক্ষার পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে, প্রচারেও সক্রিয়। তিনি মনে করে শিক্ষার সাথে সাথে প্রতিটি শিশুর মধ্যে সংস্কৃতির জাগরণ, সুরুচির বিনির্মাণও জরুরি। ফলে তাঁর কাজের মাঝেও পরিচয় পাই রবীন্দ্রনাথের নান্দনিক চেতনাবোধের- ‘সাজাবো যতনে’। তাঁর প্রতিটি কাজে থাকে পরিকল্পনা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা, সুষম বিন্যাস। ফলে স্বপ্নগুলো অকালে ঝরে পড়ে না, বিনষ্ট হতে দেখি না। আমার আরেকটি প্রাণের প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরম স্বজন অঞ্জনদা (অঞ্জন দে) প্রিয়জন বাবলুদার কর্মকুশলতার, দক্ষতার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী। অঞ্জনদার ভাষাতেই জানা যাক, ‘রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে জনাব Bablu Saha গণমূখী দেশপ্রেম, নৈতিকতা ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনে সফল হয়েছিলেন। ঐ অঞ্চলের মানুষের কাছে তিনি একজন অবিস্মরণীয় জনসেবক। পরবর্তীতে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে দক্ষতা ও মমতার সাথে তাঁর একনিষ্ঠ দায়িত্ব পালন- সবারই জানা।’ সম্প্রতি আমি কাপ্তাই ভ্রমণকালে স্থানীয় অনেকের সাথেই বাবলুদাকে নিয়ে কথা বলেছি, জেনে খুশিই হয়েছি । তাদেরই ভাষ্যে, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে (২০০১-২০০৪)। কাপ্তাইবাসীর দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন সৎ, দেশ প্রেমিক অন্যায়েরর সাথে আপোষহীণ কর্মবীর এবং সৃজনশীল মানসিকতা সম্পন্ন একজন দক্ষ কর্মকর্তা। দলমত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তিনি ছিলেন কাপ্তাইবাসীর কাছে বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে ধারণ করে অকুতোভয় সৈনিকের মতো কাপ্তাইবাসীকে সেবা করেছেন তিনি। ২০০১-২০০৪ সময়কালীন সম্পূর্ণ প্রতিকুল পরিবেশের মধ্যে তিনি জাতীয় দিবসে( বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ২১ শে ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠান গুলোতে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য শুরু করতেন, এই জন্য থাকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। বাসায় দেব দেবীর সাথে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি রেখেছেন তিনি যথাযথ সম্মানের সাথে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা বিষয়ে বাবলুদা’র মায়ের ভাষায়, ‘এখনও প্রতিনিয়ত দেব দেবীর সাথে বঙ্গবন্ধুকে প্রনাম করেই দিনের কাজ শুরু করে সে।’
৭.
আমাদের স্বনামধন্য নাটিয়াবাড়ী হাইস্কুলের (ধোবাখোলা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়, নাটিয়াবাড়ী, পাবনা) কৃতি ছাত্র। কলেজ জীবনও কাটিয়েছেন এলাকাতেই। সম্মানের সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিসিএস পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে যোগদান করেন প্রশাসন ক্যাডারে। শুরুর দিকে মাঠ পর্যায়ে সুনাম ও দক্ষতা-যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা, নওগাঁ, রাঙ্গামাটিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। দাদার দায়িত্ব পালনকারী কয়েকটি এলাকায় বিভিন্ন সময়ে পরিভ্রমণে গিয়ে সেখানকার স্বজনদের কাছে তাঁর সুনাম শুনে শ্লাঘা বোধ করেছি। উপসচিব ও যুগ্মসচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পর্যায়ক্রমে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনকালে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সদা সচেষ্ট থাকতে দেখেছি, নানান দৃষ্টান্তও আমার জানা। এরপর অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে যোগদান করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ে, সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে। সরকারের অর্থনৈতিক নীতিকে আরো বলিষ্ঠ করতে, নীতিসমূহের যথাযথ বাস্তবায়নে উঠোন বৈঠকের মাধ্যমে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধির, সৃষ্টির সৃজনী কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়ন করে সাফল্যমালাকে জোরালো করেন, সেই সোপানে যোগ করেন সমৃদ্ধির সুবাস। আর তারই ফলে সরকারের নীতি প্রণেতাদের সুনজরে আসেন তিনি, তাদেরই সিদ্ধান্তে এবার যোগদান করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়ের মতোন বড় পরিসরের সরকারী সেবাখাতের সাথে নিজের ভূমিকাকে আরো সক্রিয় করতেও সদা উন্মুখ, সচেষ্ট থাকতে দেখি তাঁকে। আশা করি প্রত্যাশিত কাজগুলো সাফল্যের সাথে করতে পারবেন, জনগণের মৌলিক চাহিদার দাবিদার স্বাস্থ্যখাতের ব্যবস্থাপনা-সেবা আরো জনমুখী সম্প্রসারণে, চিকিৎসা সেবার সঠিক মান সুনিশ্চিত করতে এবং ক্রমাগত বাড়াতে সহায়ক হিসেবে সকল শক্তি, দক্ষতা, মেধা কাজে লাগানোর সবিশেষ সুযোগ পাবেন।
৮.
বাবলুদা’র স্বপ্নের একটি সার্থকতার উদাহরণ তুলে না ধরলেই নয়। তাঁরই একান্ত প্রচেষ্টায় ও অন্যদের সহযোগিতায় ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হরিনাথপুর মডেল হাইস্কুল। প্রতিষ্ঠার পর এ যাবত অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় স্কুলটি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবং পাবনা জেলার মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে প্রতিবারই প্রথম দশটির মধ্যে স্থান অর্জন করতে পেরেছে। তাঁর একান্ত ও নিরলস প্রচেষ্টার ফসল এই ধারাবাহিক সাফল্য। কারণ আমিও একটি প্রকল্পের নবসৃষ্ট সরকারী কলেজে শিক্ষকতা করি, সেখানকার নানান অভিজ্ঞতার আলোকে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বাবলুদা’র সঠিক পরিকল্পনা ও দূরদর্শিতার প্রশংসা করতেই হয়। আমি বেদনার সাথে দেখতে পাই, আমাদের ৬/১১ প্রকল্পের কলেজটির সকল সুযোগ ও সম্ভাবনাকে অংকুরেই বিনষ্ট করা হয় কলেজটি প্রতিষ্ঠার মূল চেতনার বাইরে গিয়ে রাতের আঁধারে, নিরবে কয়েকজনের যোগসাজশে মাত্রাতিরিক্ত সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে ‘আত্মঘাতী’ প্রক্রিয়ায় মানসম্পন্ন সুশিক্ষার পরিবেশ অস্বাভাবিক করে তুলে, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, হার সুশিক্ষার অনুপযোগী করে তুলে। এক্ষেত্রেও বাবলুদা’র প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়ে যায় কারণ তিনি এসইএসডিপি প্রকল্পের ৬৩ টি স্কুলের মধ্যে হরিনাথপুর মডেল হাইস্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, হার প্রকৃত বাস্তবতাকে অনুসরণ করেছেন প্রবল চাহিদা, দাবিকে উপেক্ষা করে। তিনি শিক্ষার মৌল চেতনাকে অনুধাবন করে থাকেন এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়নেরও দৃষ্টান্ত গড়ে তুলতে সক্ষম হন। যে গুণ ও দক্ষতাটা আমাদের শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের মধ্যেই বিরল।
৯.
আমার আরেকটি প্রাণের প্রতিষ্ঠান, আলোকিত শিক্ষাঙ্গন আমার জন্মস্থান পাবনা জেলার বেড়া উপজেলাধীন নগরবাড়ী ঘাটের যমুনা নদী তীরবর্তী এলাকায় অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত ‘হরিনাথপুর এসইএসডিপি মডেল হাই স্কুল’। আমার এই প্রিয় আলোর ভুবন ভরা জীবনানন্দময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি প্রকাশিত চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে পাবনা জেলায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। এরচেয়ে বড় আনন্দের, সুখের সুখবর আর কী হতে পারে আমরা যারা এর সাথে নানাভাবে জড়িত ও শুভাকাংখী, তাদের জন্যে? কারণ হাইস্কুলটি ২০১২ সাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে প্রতি বছরই এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সেরাদশের মধ্যে স্থান করে অনন্যতা সৃষ্টি করেছে। সারাদেশের সুবিধা বঞ্চিত এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করে ৬৩টি স্কুল। এই স্কুলগুলোর মধ্যে পরীক্ষার ফল আর শৃঙ্খলায় শীর্ষে আছে হরিনাথপুর এসইএসডিপি মডেল হাই স্কুল। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এসইএসডিপি প্রকল্পের আওতাধীন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও শুরু থেকেই মানসম্পন্ন সুশিক্ষা সুনিশ্চিত করতে দৃঢ়ভাবে সচেষ্ট এবং এই সংকল্পে কখনো ন্যূনতম ছাড় দেয়নি বলেই সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে বলে আমার ধারনা সুদৃঢ় হয়েছে। মডেল হাই স্কুলের সাফল্যের অন্তরালের কারণ খুঁজলে দেখতে পাই শুরু থেকেই শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার পাশাপাশি পরিচালনার সাথে জড়িতদের দৃঢ় মনোবল, বাস্তবসম্মত সদিচ্ছার প্রয়োগ কৌশলেরই জয় হয়েছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই অর্থের মোহ তাদের পেয়ে বসেনি বলেই শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত সবসময়ই যৌক্তিক ছিলো, প্রচন্ড চাহিদা ও চাপের মাঝেও শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ‘চরম আত্মঘাতী প্রবণতা’ সংখ্যাবৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থকরী মোহের কাছে পরাজিত হতে দেখিনি, অসৎ উপায়ের আশ্রয় নিতে দেখিনি শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়ায়। পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমেই প্রকৃত শিক্ষানুরাগী শিক্ষার্থীকেই ভর্তির ক্ষেত্রে একমাত্র মানদন্ড বিবেচনা করা হয়েছে, সেই মানের পতন হতে কখনো কর্তৃপক্ষকে একটুও ছাড় দিতে দেখিনি। তাছাড়া শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট সকলের সংঘবদ্ধভাবে আরো ভালো করার প্রচেষ্টা-প্রয়াসই আমার প্রিয় এই শিক্ষাঙ্গণকে আনন্দ আলোর আসর হিসেবে গড়ে তুলেছে। অর্থনৈতিক দারিদ্র্যতা কিংবা অহেতুক ভয়ের সংস্কৃতির পথের পাথর, বাধাগুলোকে অতিক্রম করা গেলে আলোর বাতিঘর করে তোলা মোটেই যে অসম্ভব নয়, সেটাই প্রমাণ করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। চারপাশে শিক্ষা ব্যবসায়ীদের অনাচারের অন্ধকারে অনুকরণীয় দৃষ্টান্তস্থাপনকারী এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িতদের সুযোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছেন আমার বাবলুদা। তাঁর দৃঢ়চেতা মনোবলের কারণেই আজো সঠিক পথে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সুনাম অর্জন করতে পারছে।
১০.
আমরা জানি যে, প্রতিটি শিশুর মাঝে বিদ্যমান সকল সম্ভাবনা বিকশিত করার অনুকূল শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়নে সহায়ক ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। তেমনই এক মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার যমুনা নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী নগরবাড়ী ঘাট সংলগ্ন মনোরম পরিবেশে হরিনাথপুর এসইএসডিপি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। আলোকিত এই মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা, স্বপ্নবান মানুষ বাবলুদা’র ভাষ্যটিও মনকাড়া, ‘বিদ্যালয়টি আন্ডার সার্ভড এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও মানের দিক থেকে এটি অনন্য। এবারের এস এস সি পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান পাবনা জেলায় পঞ্চম। অভিনন্দন সন্মানিত প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকমন্ডলীকে। আর শুভ কামনা থাকল কৃতি শিক্ষার্থীদের জন্য।’ বিনয়ী ও কর্মঠ ব্যক্তিত্ব বাবলুদা’র সাথে নানা কাজে যুক্ততার সুযোগে তাঁর কর্মদক্ষতা, ব্যবস্থাপনা কৌশলগুলো আমার কাছে অনুকরণীয় সবসময়। সঠিক সময়ে যথাযথ বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ‘সিদ্ধপুরুষ’ বাবলুদা সুরের নিরব সাধক বলেই সুস্থ ও শুদ্ধ সংস্কৃতির সঠিক ঠিকানা জানেন। আর তাই রবীন্দ্রনাথের এতনিষ্ঠ ভক্ত তিনি রবীন্দ্র বাণীটি ‘মনের দারিদ্র্যতা না ঘুচলে অর্থনৈতিক দৈন্যতা কখনো যাবে না’ বেশ ভালো করেই জানেন ও মানেন বলে নিজ এলাকায়, মাটির টানে শিক্ষার মাঠে নামেন। সাফল্য আসে তাঁর ফসলের মাঠে, সবুজ প্রাণের শিশুরা খেলা করে, সুশিক্ষা লাভ করে আবার ফলাফলেও কম যায় না। এই সাফল্যের নেপথ্যচারীর সম্মানিত নামটিই বাবলু কুমার সাহা।
১১.
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে বাবলুদা’র নানান কাজের সাফল্যকথা নিয়ে প্রায়শ:ই বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর, সাক্ষাৎকার প্রচার হতে দেখে আনন্দিত হয়েছি। যেমনটি হতাম তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির সফলতার খবর পড়ে, দেখে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানের কিছু কথা আজ বিশেষভাবে মনে পড়ছে শিক্ষার প্রতি একান্ত আগ্রহী আমার। সেদিন মীনা কার্টুনের জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আলোচনার বিষয় ছিলো- শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরে পড়া সমস্যা। আর এ বিষয়ে সেদিন সরল ভাষায় আলোচনা করলেন, মতামত দিলেন, নানান প্রশ্নের পরিসংখ্যানসহ সাবলীল উত্তর দিলেন সরকারের তৎকালীন যুগ্মসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্কুল ফিডিং কর্মসূচীর প্রকল্প পরিচালক হিসেবে বাবলু কুমার সাহা। তিনি জানালেন, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচীর সফলতার পথ ধরেই শিশুদের বিস্কুটের পরিবর্তে দুপুরে রান্না করা খাবার দেয়ায় শিশুর মেধার বিকাশের পাশাপাশি ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। এভাবে শতভাগ শিশুকে শিক্ষিত করার মাধ্যমে দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করার সরকারি অঙ্গীকার অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবকেই মনে করেন তিনি। ঝরে পড়া রোধে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, উন্নয়নের জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এই উপলব্ধি থেকেই উন্নয়ন কাঠামোয় সরকার শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তাছাড়া সরকার নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। এজন্য স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পুষ্টি সরবরাহ করতে খাদ্য বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ও বাস্তবায়ন করছে সরকার। যেহেতু স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমে যাওয়াসহ শিক্ষায় ব্যাপক সফলতা পাওয়া যাচ্ছে সেহেতু কর্মসূচি বিস্তৃত করতে চায় সরকার। এদিকে চলমান স্কুল ফিডিং কর্মসূচী এলাকায় শিক্ষার্থী ভর্তি শতভাগ নিশ্চিত হয়েছে। উপস্থিতির হার পূর্বের তুলনায় গড়ে ৫-১৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, ঝরে পড়ার হার কমেছে, শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, উন্নত হচ্ছে শিক্ষার গুণগত মানও।
১২.
বাবলুদা স্বপ্ন দেখেন, দেখাতেও জানেন। মাটিতে পা রেখে, সাময়িক অর্থনৈতিক উন্নতির চেয়ে কষ্টকর দীর্ঘমেয়াদী সুষম উন্নয়ন ভাবনাকে অনুধাবন করতে পারেন বলেই তিনি স্বপ্নকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন জড়িয়ে থেকে। ফলে তাঁর স্বপ্ন, কাজ ও দূরদৃষ্টি আমাকে যেমন টানে, গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে, তেমনি ‘স্বপ্ন দেখার ইচ্ছে আমার আজো যে গেলো না’ তাদেরকেও। তাঁর সৎসঙ্গে আমি কেবল মুগ্ধই হই না, তাঁর কাছ থেকে প্রতিনিয়ত দূরদর্শিতার, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ‘আকাশ কুসুম’ নয় প্রকৃত বাস্তবতার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি, আলোর ভূবন গড়তে, জীবনানন্দে বাঁচতে, সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় কাজটি করতে দারুণ উদ্দীপনা অনুভব করি। আমার প্রিয় বাবলুদা আমার চলার পথে এভাবেই দিক নির্দেশনা প্রদান করে হয়ে ওঠেন জীবন মাঠের সফল কৃষক, সুশিক্ষক, প্রাণের প্রদীপ জ্বালানো জীবন মন্দিরের অনির্বাণ বাতিঘর।
আবদুল্লাহ আল মোহন
২৮ মে, ২০১৮ / ২৮ মে, ২০১৯