Saturday, মে ১৮, ২০২৪
শিরোনাম

একুশে পদকপ্রাপ্ত পাবনার কবি ওমর আলীর আজ ৮১তম জন্মদিন

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন


১৯৩৯ সালের ২০ অক্টোবর পাবনা শহরের দক্ষিণের দুর্গম চরশিবরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর সদর উপজেলার পদ্মানদী তীরবর্তী কোমরপুর গ্রামের বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন

গুণী এই মানুষ পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। মৃত্যুর পর ২০১৬ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। তার ৪৩টি কাব্যগ্রন্থ ও দুটি উপন্যাস রয়েছে।

ওমর আলী রোম্যান্টিক কবি যিনি ষাট দশকের কবি হিসেবে চিহ্নিত। তিনি তার রচিত প্রেমের কবিতাগুলোর জন্য বিখ্যাত। শ্যামবর্ণা স্বাস্থ্যবতী আদিম বাঙালি নারীকে তিনি তার সমস্ত ইন্দ্রিয়ানুভূতি দিয়ে আবিষ্কার করতে উদ্যোগী হন। তার কবিতায় গ্রাম বাংলার মাটির অকৃত্রিম সোঁদা গন্ধ মেলে। প্রেয়সীর সংস্পর্শ, মিলন ও বিরহ, অফুরন্ত প্রকৃতি সৌন্দর্যের রোমান্টিক অনুকল্পে তার কাব্য বাঙময় হয়ে ওঠে।।

ওমর আলী হাম্মাদিয়া হাই স্কুল থেকে ১৯৫৫ সনে প্রবেশিকা, কায়েদে আযম কলেজ থেকে ১৯৬২ সনে উচ্চ মাধ্যমিক, এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা থেকে ১৯৬৫ সনে স্নাতক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সনে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে বাঙলায় স্নাতকোত্তর করেন। পেশাগত জীবনে তিনি অধ্যাপক ছিলেন। সরকারি শহিদ বুলবুল কলেজ পাবনা থেকে ১৯৯৭ সনের ২১ অক্টোবর অবসর গ্রহণ করেন।

ওমর আলীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘এদেশে শ্যামল রঙ রমণীর সুনাম শুনেছি’ প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে। তার প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ হচ্ছে, অরণ্যে একটি লোক (১৯৬৬), আত্মার দিকে (১৯৬৭), সোনালি বিকেল (১৯৬৫), নদী (১৯৬৯), নরকে বা স্বর্গে (১৯৭৫), বিয়েতে অনিচ্ছুক একজন (১৯৭৫), প্রস্তর যুগ তাম্র যুগ (১৯৭৪), স্থায়ী দুর্ভিক্ষ সম্ভাব্য প্লাবন (১৯৭৫), তেমাথার শেষে নদী (১৯৭৪) প্রভৃতি।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর