নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গরম আর রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। গরমে অস্বস্তিতে মানুষ। বিশেষ করে রোজাদারদের জন্য কষ্ট বেড়েছে। ভোরে সূর্য ওঠার পরপরই বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের প্রখর তাপে মানুষের গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে। রোজার মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে তাপমাত্রা বাড়ায় অতিষ্ঠ জনজীবন।
তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও ক্ষেতমজুর, রিকশাচালক, ধান চাতাল শ্রমিকসহ মাঠের কৃষকেরা।
শ্রমিক খাদিজা বলেন, রোদের তাপে চাতালে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু চাতালে না নামলে ধানও শুকবে না। ধান শুকাতে না পারলে মজুরিও পাওয়া যাবে না। আর মজুরি না পাওয়া গেলে পেটে দানাও পড়বে না। তাই রোদের তাপ সহ্য করেই কাজ করতে হচ্ছে। শহরের রিকশা চালক জলিল বলেন, আগে যে আয় হতো, এখন তাপদাহের কারণে সেই আয় হচ্ছে না। তা ছাড়া তীব্র রোদে বেশিক্ষণ রিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে পাবনা ঈশ্বরদীর আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক নাজমূল হক জানান, আজকে পাবনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার ৯টি উপজেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।