মনসুর আলম খোকন: সাঁথিয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণে দায়িত্বপালনকারী শিক্ষকদের যথাযথ প্রাপ্য না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে,২০২২ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করানোর জন্য সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোজাম্মেল হক দশটি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে প্রায় ১০০ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ প্রতিটি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদকাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করেন। এ দায়িত্বপালনকারী কয়েকজন শিক্ষক জানান,হালনাগাদ কাজে ব্যবহৃত সিল ,প্যাড ,পেন্সিল, কলম,খাতা সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা সরবরাহ করা হয়নি। নির্বাচন অফিসারের মৌখিক নির্দেশনা ছিলো,এগুলো তথ্য সংগ্রহকারী শিক্ষকগণ ব্যক্তিগতভাবে ক্রয় করে বিল,ভাউচার অফিসে জমা দিলে সে অর্থও তথ্য সংগ্রহকারীদের দেয়া হবে । সকল তথ্য সংগ্রহকারীদের ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হলেও নির্বাচন অফিস তা পরিশোধ করেনি । উপরন্ত তথ্য সংগ্রহকারী একেকজন শিক্ষক যে ভোটার করেছেন তা থেকে অধিকাংশ শিক্ষকদের ৩০ থেকে ১০০ টি ভোটার ও কর্তন কম দেখিয়ে বিলশীটে নির্বাচন অফিসার স্বাক্ষর নিয়েছেন। এ বছর ভোটার ৫০ টাকা এবং কর্তন ৩০ টাকা তথ্য সংগ্রহকারীদের দেওয়া হচ্ছে। সেই হিসাবে একেকজন তথ্য সংগ্রহকারীকে ১৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা কম দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে অনেক শিক্ষক নির্বাচন অফিসার মোজাম্মেল হকের সাথে কথা বলতে গেলে শিক্ষকদের সাথে অসম্মান জনক আচরণ করেন বলে জানান তারা।এ ব্যাপারে নির্বাচন অফিসার মোজাম্মেল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,গতকাল ছিল আমার শেষ কর্মদিবস।আমার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।সুপারভাইজাররা যেভাবে বিলশিট জমা দিয়েছেন সেভাবেই টাকা দেয়া হচ্ছে।