আবদুল্লাহ আল মোহন
১.
অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও সাংবাদিক ফতেহ লোহানী। তাঁর পুরো নাম আবু নজীর মোহাম্মদ ফতেহ আলী খান লোহানী হলেও তিনি ফতেহ লোহানী নামেই সুপরিচিত। তিনি ১৯২০ সালের ৭ মে তৎকালীন বৃহত্তর পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলায়) কাউলিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রে জন্মদিন ৭ মে বলা হয়েছে। আবার দৈনিক প্রথম আলো লিখেছে (০৪/০৪/২০১৩) ‘১৯২৩ সালের ১১ মার্চ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ফতেহ্ লোহানীর জন্ম।’ অবশ্য বাংলাপিডিয়াতে তাঁর কোন জন্ম তারিখ পাইনি। জন্মস্থান, তারিখ ও সাল নিয়ে চরম বিভ্রান্তি, ভিন্নতা দেখা দিয়েছে। সঠিক তথ্যের সন্ধানে আছি। আপনাদের সহযোগিতা কাম্য। সঠিক তথ্য না পাওয়ায় ১১ মার্চ জন্ম তারিখ ধরে নিয়েই ফতেহ লোহানীর জন্মদিনে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি আগেও। উল্লেখ্য যে, বিখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ফতেহ্ লোহানী ১৯৭৫ সালের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রামের কাপ্তাই-এ আউটডোর লোকেশনে আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘কুয়াশা’ ছবিতে অভিনয় করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
২.
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠচক্রে নোবেলজয়ী উপন্যাসিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘দি ওল্ডম্যান অ্যান্ড দ্য সি’ (সমুদ্র সম্ভোগ) বইটির অনুবাদের সুবাদে ফতেহ্ লোহানীর নামের সাথে প্রথম পরিচিত হই। অনুবাদক হিসাবে, বিশেষত মার্কিন ঔপন্যাসিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যাণ্ড দ্য সি’ গ্রন্থের বাংলা রুপান্তরে তাঁর মুন্সিয়ানা সকলের মনোযোগ ও প্রশংসা লাভ করে । অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার পাঠচক্রের আলোচনাকালে ফতেহ্ লোহানীর ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁর প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করান। বেশ কিছু ছোটগল্প ও ব্যঙ্গধর্মী নিবন্ধেরও রচয়িতা তিনি । তিনি একাধারে বহুগণের অধিকারী ছিলেন যেমন, বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে অগ্রণী অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, বেতারের অনুষ্ঠান প্রযোজক, সংবাদ পাঠক, আবৃত্তিকার ও অনুবাদক।
৩.
ফতেহ লোহানীর ডাক নাম ‘লেবু’৷ তাঁদের পৈতৃক বাড়ি সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে৷ এক সময় তিনি ক্যারিকেচার দেখাতেন, ছবি আঁকতেন, আবৃত্তি করতেন৷ বিবিসি’র সঙ্গে জড়িত থেকে ‘সিন্দবাদ’ নামে ও খ্যাতি লাভ করেন৷ তাঁর স্ত্রী রিজিয়া লোহানী এক সময় ইডেন কলেজের উর্দু বিভাগের প্রধান ছিলেন৷ অবশ্য রিজিয়া লোহানীর পৈতৃক নিবাস ভারতের উত্তর প্রদেশে৷ তাদের একমাত্র সন্তান, মেয়ে সুমনা লোহানী । ফতেহ লোহানীর ছোট ভাই এদেশের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ‘যদি কিছু মনে না করেন’খ্যাত ফজলে লোহানী এবং তাঁর ছোট বোন প্রখ্যাত গায়িকা হুসনা বানু খানম হেনাও আজ আর বেঁচে নেই৷ বন্ধু-বান্ধব আর সহকর্মীদের উৎসাহে ১৯৬৪ সালে জিল্লুর রহিম পরিচালিত ‘এই তো জীবন’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন। এরপর ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ৪৪টি ছবিতে অভিনয় করেন। ১৯৮৩ সালের ১৪ মার্চ এফডিসির রজতজয়ন্তীতে ফতেহ্ লোহানীকে মরণোত্তর স্বীকৃতিস্বরূপ চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়।
৪.
ফতেহ লোহানীর (জন্ম : ১১ মার্চ / ৭ মে, ১৯২৩ – মৃত্যু : ১২ এপ্রিল ১৯৭৫) পিতা আবু সাঈদ মোহাম্মদ সিদ্দিক হোসেন খাঁ (১৮৯২-১৯২৯) যিনি আবু লোহানী নামে অধিক পরিচিত একজন সাংবাদিক ও সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি তৎকালীন কলকাতার বিখ্যাত ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্রিকা দ্য মুসলমান (১৯০৬) এর সহকারী সম্পাদক ছিলেন এবং মাতা ফাতেমা লোহানী কলকাতা করপোরেশন স্কুলের শিক্ষিকা ও লেখিকা ছিলেন। মাত্র আট বছর বয়েসে পিতার আকস্মিক মৃত্যুর পর মায়ের তত্ত্বাবধানে কলকাতায় ছেলেবেলা ও শিক্ষাজীবন অতিবাহিত হয়। সেন্ট মেরিজ ক্যাথেড্রাল মিশন হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, রিপন কলেজ থেকে আই.এ এবং বি.এ পাস করার পর ১৯৫০ সালে তিনি লন্ডন গমন করেন এবং ওল্ডভিক থিয়েটার স্কুলে নাট্য প্রযোজনা বিষয়ে দু’বছরের কোর্স সমাপ্ত করেন। সেইসঙ্গে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সদস্য হিসেবে তিনি চলচ্চিত্র বিষয়ে অধ্যয়ন করেন।
৫.
ফতেহ্ লোহানীর স্কুল ও কলেজ জীবনে জড়িত হন নাটকের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও নাটক, আবৃত্তি, লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হন। কলকাতার স্কুলে পড়ার সময় তিনি অভিনয়, কৌতুকাভিনয় ও আবৃত্তি করতেন। রিপন কলেজে পড়ার সময় তিনি বহু বাংলা ও ইংরেজি নাটকে অভিনয় করেন। কলেজে অভিনীত তাঁর প্রথম নাটক বনফুল রচিত শ্রী মধুসূদন-এ তিনি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক উৎপল দত্ত পরিচালিত হ্যামলেট। পরে তিনি শৌখিন নাট্যগোষ্ঠী ও সাধারণ রঙ্গমঞ্চের সঙ্গে জড়িত হন। তিনি সিরাজউদ্দৌলা নাটকটি পরিচালনা ও তাতে অভিনয় করেন। বাণী থিয়েটার-এর মঞ্চে তিনি রামের সুমতি নাটকে অভিনয় করেন। পেশাদার নাট্যগোষ্ঠী ‘আলোক তীর্থ’-এর উদ্যোগে রঙমহল-এ মঞ্চস্থ হেমেন রায়ের নর-নারী নাটকে তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে প্রখ্যাত ক্যামেরাম্যান চলচ্চিত্রকার বিমল রায় তিনি তাঁর বাংলা ছায়াছবি উদয়ের পথের হিন্দি ভার্সন হামরাহিতে (১৯৪৫)একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দেন। ফতেহ্ লোহানী থেকে অভিনেতা কিরণ কুমার নাম হলো। নামটি বিমল রায় নিজেই দিয়েছেন। এরপর নার্স সিসিতে চুক্তি হয় দুই শ টাকা বেতনে। বন্ধু বান্ধবের পরামর্শে দীর্ঘদিনের জন্য চুক্তিতে আবদ্ধ হলেন না। ওবায়দুল হকের ছায়ানট পিকচার্সের দুঃখে যাদের জীবন গড়া ছবিতে প্রতিনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এ ছবিতে জহর গাঙ্গুলী ও রেনুকা দেবী ছিলেন নায়ক-নায়িকা। এরপর মুক্তির বন্ধন ছবিতে নায়ক হন। নায়িকা ছিলেন গীতশ্রী দেবী। মনোজ বসুর একটি ছবিতে অভিনয় করার কথাবার্তা চূড়ান্তের একপর্যায়ে দেশ বিভাগের আন্দোলন শুরু হলে ছবিটি আর করা হয়নি। নিউ থিয়েটার্সে কাজ করার সময় পরিচালনার দিকটির প্রতি তিনি তীক্ষ দৃষ্টি রাখতেন। প্রমথেশ বড়ুয়ার গৃহদাহ ছবির সহকারী হিসেবে কিছুদিন কাজ করেন। তিনি অভিনয় করেন রঙিলা আর্ট কর্পোরেশন প্রযোজিত উদয়ন চৌধুরী (ইসমাইল মোহাম্মদ) রচিত ও পরিচালিত জোয়ার নাটকে এবং হিমাদ্রি চৌধুরী (ওবায়েদ-উল হক) রচিত, প্রযোজিত ও পরিচালিত দুঃখে যাদের জীবন গড়া (১৯৪৬) চলচ্চিত্রে।
৬.
এছাড়াও দেশ বিভাগ-পূর্বকালে কলকাতায় থাকা অবস্থায় তিনি সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চায় জড়িত হন। তখন তিনি কাজ করতেন দৈনিক আজাদ ও সাপ্তাহিক ইত্তেহাদ-এ। বেতারের অনুষ্ঠানেও তিনি অংশগ্রহণ করতেন। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্টের পর ফতেহ লোহানী ঢাকা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন সংবাদ পাঠক হিসেবে, সেইসঙ্গে নাটক ও আবৃত্তিতেও অংশ নিতেন। ফতেহ লোহানী কিছু গানও রচনা করেন। ঢাকা থেকে ১৯৪৯-এ মাসিক সাহিত্য পত্রিকা অগত্যা প্রকাশে তিনি প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেন। ঐ বছরই তিনি যোগ দেন করাচি বেতারে, পরে বিবিসি-তে। ১৯৫৪ সালে ঢাকায় ফিরে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে জড়িত হন, পাশাপাশি বেতার অনুষ্ঠান, অভিনয় এবং লেখালেখিতেও মনোনিবেশ করেন।
৭.
চলচ্চিত্রে প্রবেশের সুযোগ ঘটলে মানিকগঞ্জের মেয়ে হেনা ভট্টাচার্য হয়ে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘সু’কন্যা সুমিতা দেবী। নামটি দেন ফতেহ লোহানী। তার ছবিতেই প্রথম সুযোগ পেলেন সুমিতা দেবী। ফতেহ লোহানী পরিচালিত ‘আসিয়া’ এবং ‘আকাশ আর মাটি’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে শুরু হয় রূপালি ভুবনে তার যাত্রা।
৮.
১৯৫৭ সালে চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (এফডিসি) প্রতিষ্ঠার পর তাঁর পরিচালিত প্রথম দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছিল আকাশ আর মাটি (১৯৫৯) ও আসিয়া (১৯৬০)।১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি আসিয়া পরিচালনা করে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ফতেহ্ লোহানী আলোচিত হন এ দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে। আসিয়া ছবিতে অভিনয় করেন শিশুশিল্পী হিসেবে আমাদের দেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। ছবিতে গান করেছেন আব্বাস উদ্দীন। ছবির শুটিং চলাকালে আব্বাস উদ্দীন মারা যান। সে সময়কার সমাজব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি ছিল আসিয়া। নানা দিক থেকে ফতেহ্ লোহানীর আসিয়া ছিল আলোচিত ক্লাসিক ছবি।
৯.
১৯৬৫ সালে মুক্তি পায় তাঁর পরিচালিত উর্দু ছবি সাত রং। ১৯৬৭ সালে তিনি প্রথম অভিনয় করেন টেলিভিশন নাটক নির্ভীক-এ। ঢাকায় তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র রাজা এলো শহরে (১৯৬৪)। ফতেহ লোহানী অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে মুক্তির বন্ধন (১৯৪৭), তানহা (১৯৬৪) বেহুলা (১৯৬৬), ফির মিলেঙ্গে হাম দোনো (১৯৬৬), আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭), দরশন (১৯৬৭), জুলেখা (১৯৬৭), এতটুকু আশা (১৯৬৮) বাল্যবন্ধু (১৯৬৮), মোমের আলো (১৯৬৮), মায়ার সংসার (১৯৬৯), মিশর কুমারী (১৯৭০), তানসেন (১৯৭০), আঁকাবাঁকা (১৯৭০), অন্তরঙ্গ (১৯৭০), ঘূর্ণিঝড়, (১৯৭০), স্বরলিপি (১৯৭০), দর্পচূর্ণ (১৯৭০), দীপ নেভে নাই (১৯৭০), অপবাদ (১৯৭০), ডাকু মনসুর (১৯৭৪), দুই রাজকুমার (১৯৭৫), এক মুঠো ভাত (১৯৭৫), কুয়াশা (১৯৭৭) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ফতেহ লোহানী রচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে নিভৃত সংলাপ, দূর থেকে কাছে ও সাগরদোলা। তাঁর অনূদিত নাটকসমূহ হচ্ছে, একটি সামান্য মৃত্যু (আর্থার মিলারের ডেথ অব এ সেলসম্যান), চিরন্তন হাসি (ইউজিন ও নীলের ল্যাজারাস লাফড), বিলাপে বিলীন (ইউজিন ও নীলের মর্নিং বিকামস ইলেক্ট্রা) এবং উপন্যাস সমুদ্র সম্ভোগ (আর্নেস্ট হেমিংওয়ের দি ওল্ডম্যান অ্যান্ড দ্য সি)।
১০.
কর্মজীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে: পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬১-তে শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র আসিয়া-র জন্য), পাকিস্তানের নিগার পুরস্কার (১৯৬-তে শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা আসিয়া), পাকিস্তানের মজিদ আলমাক্কী পুরস্কার (১৯৬৮-তে শ্রেষ্ঠ বেতার নাট্য-অভিনেতা), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কার ১৯৭৫ (অভিনয়- চলচ্চিত্র) এবং এফডিসি-র রজত জয়ন্তী ট্রফি (১৯৮৩) উল্লেখযোগ্য।
১১.
চিত্রসমালোচকদের মতে, দুই বাংলার সিনেমার কথা উঠলেই চরিত্রাভিনেতাদের মধ্যে প্রথমেই ছবি বিশ্বাসকে মনে পড়বে৷ তার চেহারায় ছিল জমিদারি ভাবসাব৷ ফতেহ লোহানীর অভিনয়েও তেমনই একটি স্বতন্ত্র আভিজাত্য ছিলো। আর তাই দুই বাংলার সিনেমার ইতিহাসে নানা কারণে ফতেহ লোহানী নামটিই বারবার বলতে হয়৷ তিনি ছিলেন একজন সম্পূর্ণ অভিনেতা, তাঁর মতো অসাধারণ অভিনেতা কালে-ভদ্রে জন্মায়৷ আর এ জন্যেই তো ফতেহ লোহানী কিংবদন্তি হয়ে রইলেন৷
(তথ্যসূত্র : বাংলাপিডিয়া, উইকপিডিয়া, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক সংবাদ, ইন্টারনেট)
আবদুল্লাহ আল মোহন
১২ এপ্রিল, ২০১৬ / ১১ মার্চ, ২০১৭ / ১২ এপ্রিল, ২০১৭/ ১১ মার্চ, ২০১৯/ ১২ এপ্রিল, ২০২০