Tuesday, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীকে নির্বাচনে চান পাবনার সংস্কৃতিকর্মীরাওনার্স পরিচয় দেন ডাক্তার, দিচ্ছেন সর্ব রোগের চিকিৎসাডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

বেড়ার ব্যস্ত সড়কটি এখন পরিত্যক্ত

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

বেড়া প্রতিনিধি : পাবনার বেড়া উপজেলায় দশ বছর আগে বড়শিলা-নলভাঙ্গা-খাকছাড়া গ্রাম দিয়ে একটি সড়ক নির্মাণের পর আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষের মধ্যে। সড়কটি নির্মাণ হওয়ায় উপজেলার সদর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোর মধ্যে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল। এ সময় সড়কে চলতে থাকে অসংখ্য ছোট-বড় যানবাহন। কিন্ত বর্তমানে সড়কটি ভেঙে চুরে এতটাই বেহাল দশা হয়ে পড়েছে যে ঐ রাস্তা দিয়ে শুধু পায়ে হেঁটে ছাড়া যানবাহন চলাচলের কোন অবস্থা নেই।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সড়কটি এখন অনেকটাই পরিত্যক্ত। সড়কটি বিলের মধ্য দিয়ে হওয়ায় গ্রামের চারপাশের বেড়া, চাকলা, নলভাঙা, বড়শিলা, খাকছাড়া, দমদমা, পাঁচুরিয়া, তাঁরাপুর সহ দশটি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। সড়কটি এখন পরিত্যক্ত হওয়ায় যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) বেড়া কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। ২০০৯ সালে সড়কটি নির্মাণ করতে খরচ হয় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এলাকাবাসীর অভিযোগ সড়কটি সরু ও নিচু করে নির্মাণ করা হয়েছিল যে কারণেই বর্ষা এলে সড়কটির অনেক জায়গা পানিতে তলিয়ে যায় এবং ভেঙ্গে যায়। কিন্তু এবারের বর্ষা ও বৃষ্টিতে সড়কের কয়েকটি স্থান বিলীন হয়ে গেছে। এসব স্থানে কোন যানবাহনের পক্ষে যাতায়াত করা সম্ভব না। এরপরও হঠাৎ কোনো যানবাহন এই সড়কে ঢুকে পড়লে প্রচ- দুর্ভোগ সহ্য করতে হয়। এলাকাবাসীর দাবি গত দশ বছরে এলজিডির পক্ষ থেকে সড়কটির কোন প্রকার সংস্কার করা হয়নি। এলাকাবাসী আরও জানান, রাস্তাটি পুনরায় সংস্কার করার আগে রাস্তাটি উঁচু এবং চওড়া বৃদ্ধি করলে রাস্তাটিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি সিএনজি রাস্তার ভেঙ্গে যাওয়া অংশে এসে সিএনজিটি তিনজন মিলে ঠেলে তুলছে। সড়কের ব্যাপারে জানতে চাইলে চালক সবুজ রানা বলেন, আমি জানতাম এ রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটু কষ্ট হবে কিন্তু বেড়া হাসপাতাল থেকে একটা রোগী আনার জন্য সময় বাঁচাতে এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু যেতে পারছি না। কিছু দুর গিয়ে ফিরে আসতেই জীবন শেষ। এ রাস্তা দিয়ে আইসেই চরম বিপদে পরে গেছি।
খাকছাড়া গ্রামের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক হোসেন বলেন, সড়কটি চালু হওয়ার পর আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বেড়ে গিয়েছিল। সড়কটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ায় যানবাহন তো দুরের কথা শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে আসারও উপায় নেই ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
এলজিডির বেড়া প্রকৌশলী আব্দুল কদ্দুস বলেন, সড়কটির মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর