স্টাফ রিপোর্টার : মহামারী করোনা মোকাবিলায় প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানাধীন কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুল। কাশিনাথপুর বাসস্ট্যান্ডের চারপাশে ৫টি পানির বড় ড্রাম বসিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ড্রামের ওপর লেখা রয়েছে- ‘পথচারী ভাই ও বোনেরা, করোনা মোকাবিলায় ২০ সেকেন্ড ধরে আপনি আপনার হাত ধৌত করুন’। প্রতিদিন ৪/৫ বার করে ফিল্টার পানি দিয়ে ড্রামগুলি ভর্তি করা হচ্ছে। প্রতিটি ড্রামে ২০০ লিটার করে পানি ধরে। দিনে ৪/৫ বারে একেকটি ড্রামে প্রায় ১০০০ লিটার করে পানি ভর্তি করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫টি ড্রামে সারাদিনে প্রায় ৫০০০ লিটার পানি বাবদ প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে ছয়/সাতশ’ টাকা। কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুল কর্তৃপক্ষ স্বপ্রণোদিত হয়েই এই ব্যয়ভার বহন করছে। গত বৃহস্পতিবার এই উদ্যোগ নেবার পর থেকে হাজারো পথচারী সাবানপানি দিয়ে হাত ধোয়ার কাজ করে চলেছে।
বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুলের এই মহতি উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। তাদের কাজকে আরও বেগবান করতে স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান করছি।

কাশিনাথপুর নাগরিক কমিটির সভাপতি মোখলেসুর রহমান মুকুল এই উদ্যোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে জানান, আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো আয়োজকদের সাথে থেকে কাজ করতে।
কাশিনাথপুরের প্রয়াস পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, সামাজিক সংগঠনগুলোকে আমি এই জাতীয় আরও মহতি উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানাই।

কাশিনাথপুরে অবস্থিত আমিনপুর থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকেও করোনা মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করতে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাই।
কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান আলাউল হোসেন জানান, আমাদের এই আয়োজনটি সামান্যই। কিন্তু আমাদের আন্তরিকতার কমতি নেই একটুও। আমাদের গৃহীত সামান্য এই আয়োজনে কিছুটা হলেও পথচারীরা উপকৃত হলে বা সচেতন হলে স্বার্থক হবে আমাদের উদ্যোগ। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেখাদেখি জনপ্রতিনিধি, সামাজিক-রাজনৈতিক-স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলো এই মহামারীর সময় যার যার জায়গা থেকে মানুষকে সচেতন করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করবেন-এই প্রত্যাশা করি।