Monday, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীকে নির্বাচনে চান পাবনার সংস্কৃতিকর্মীরাওনার্স পরিচয় দেন ডাক্তার, দিচ্ছেন সর্ব রোগের চিকিৎসাডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

করোনার কারণে কাশিনাথপুর বাজারে হুড়োহুড়ি, কৃত্তিম সংকটে মূল্যবৃদ্ধি

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাসের প্রভাবে পণ্যসংকট হবে—এমন আতঙ্কে পাবনার অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র কাশিনাথপুর বাজারে ক্রেতারা কেনাকাটা করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে কিছু ব্যবসায়ী খাদ্য মজুত করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বেশি দাম রাখায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কোনো কোনো ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হলেও কাশিনাথপুর বাজারে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোনো তৎপরতা না থাকায় প্রতিদিনই পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শনিবার (২১ মার্চ) সকালে কাশিনাথপুর ফুলবাগান মোড়ে অবস্থিত বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন এ প্রতিবেদক। হ্যান্ডওয়াশসহ কিছু পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে বলে জানা গেছে। চাউলের দাম বস্তায় ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছে কোনো কোনো ব্যবসায়ী।
গত দুইদিন আগে (বৃহস্পতিবার) ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও শনিবার সকালে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রসুনের দামও দুইদিন আগের চেয়ে শনিবার কেজিতে ১০ টাকা বেশি নিচ্ছে।
তবে কোনো কোনো চাল ব্যবসায়ী বলছেন, মোকামেও চালের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মিলের মালিকেরা ধানের সংকট দেখিয়ে চাল সরবরাহ করতে পারছেন না। বোরো না ওঠা পর্যন্ত চালের বাজার স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বাজারের দোকানগুলোয় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা। কেউ দরদামের তোয়াক্কা করছেন না। সবাই চাইছেন বাড়তি চাল, ডাল, নিত্যপণ্য। দাম যাই হোক, তাতে কিছু যায়–আসে না। পরিস্থিতি এমন যেন মহাদুর্যোগকে সামনে রেখে সবাই ব্যস্ত আগামী কয়েক মাসের খাবার কিনে মজুত করতে। দোকানিরাও গলদঘর্ম। ঈদের বাজারকেও যেন হার মানিয়েছে।
কেনাকাটা করতে গিয়ে দর-কষাকষির কোনো সুযোগ নেই। একটি মুদির দোকানে দেখা গেল, একজন ক্রেতা হ্যান্ডওয়াশের দাম নিয়ে দোকানিকে প্রশ্ন তুলেছেন। দোকানি অনেকটা বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আপনার না পোষালে মাল রেখে যান। অন্য দোকান থেকে কিনুন।’ পাশের দোকানে আবার অনেক ক্রেতা প্রশ্ন ছাড়াই সেসব পণ্য বেশি দামে কিনে নিচ্ছেন। কিনতে পেরে তাঁদের মুখে স্বস্তিও দেখা গেল।
প্রদীপ দাস নামের কাশিনাথপুরের এক সংগীতশিল্পী বলেন, নিয়মিত যে দোকান থেকে চাল কিনি, আজ কিনতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ি। গত পরশুদিন ওই দোকানে চালের দাম বস্তায় ২৪০০ টাকা চাইলেও একদিন পরে কিনতে গিয়ে দেখি চালের ওই বস্তাই ২৬০০ টাকা চাইছে। আমাকে দামাদামির কোনো সুযোগই দেয়নি। অথচ, গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে ওই দোকান থেকে চাল কিনি।

এরকম বিড়ম্বনায় অনেকেই পড়ছেন। স্বল্পআয়ের লোকজনই বাজার করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। সমাজের বিত্তবানদের অবশ্য মূল্য বৃদ্ধিতে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নেই।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর