বিশেষ প্রতিনিধি : পাবনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত ২১ মার্চ পর্যন্ত জেলায় মোট ৩৯৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে করোনা আতঙ্কে সাধারণ মানুষ বাজারে অতিরিক্ত ভোগ্যপণ্য কিনতে ভীড় করছেন । আর এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৩২৯ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলাতে নেয়া হয়েছে ২৭৯ জনকে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ঈশ্বরদী উপজেলায় হোম কোয়ার্টোইনে নেয়া ২৭৯ জনের মধ্যে অধিকাংশই বিদেশি নাগরিক। তারা রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মরত। অন্যান্য উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭, আটঘরিয়ায় ৭, বেড়ায় ৭, চাটমোহরে ৪. ভাঙ্গুড়ায় ২, ফরিদপুরে ৭ এবং সুজানগরে ৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।
অপর দিকে করোনা পরিস্থিতিতে পাবনা জেলার সর্বত্র সব ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, সেমিনার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়ে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। স্কুল-কলেজ বন্ধ হলেও ছুটিতে শিশুরা খেলার মাঠে যাচ্ছে। বিনোদনের জায়গাগুলোতেও ভীড় রয়েছে। অনেকেই প্রাইভেট পড়তেও যাচ্ছে। সর্দি-কাশি নিয়ে অনেকে ঘুরছে হাটে-বাজারে ।
এ ব্যাপারে পাবনা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. রাম দুলাল ভৌমিক বলেন, প্রতিটি পরিবারের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে মা-বাবাকে ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য মাজুদ করতে শুরু করায় বাজারে উপচে পড়া ভীড় দেখা দিয়েছে। আর এ সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করেছে। সব চেয়ে বেশি বেড়েছে চালের দাম। বস্তা প্রতি ২’শ থেকে ২’শ ৫০ টাকা দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকে জোরদার করার দাবি জানিয়েছে সাধারণ ক্রেতারা।