নিজস্ব প্রতিনিধি, আমিনপুর : বিয়ের দাবিতে প্রেমিক ডা. আশরাফুল আলম চৌধুরীর বাড়িতে দিনভর অনশন করেছেন প্রেমিকা স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন রুপপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে। প্রেমিক ডা. আশরাফুল আলম চৌধুরী (২৮) ওই গ্রামের আবুল চৌধুরীর ছেলে। তিনি একজন প্যারামেডিক্স চিকিৎসক ও স্থানীয় বাঁধেরহাট বাজারের মা ফার্মেসীর স্বত্তাধিকারী। অনশনরত ঐ কিশোরী স্থানীয় ধোবাখোলা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ও একই গ্রামের রফিকুল সরদারের মেয়ে।
প্রেমিকা সুমাইয়া আক্তার জানায়, বাজারে আলমের মা ফার্মেসীতে মাঝেমধ্যেই সে ওষুধ কিনতে যেত। সেই সুবাদে আশরাফুল আলমের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে আলমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এইভাবে আলম দুই বছর যাবৎ তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এখন বিয়ের জন্য চাপ দিলে আলম তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
শনিবার (২১ মার্চ) দুপুর থেকে আলমের বাড়িতে অনশন শুরু করে প্রেমিকা সুমাইয়া আক্তার। এদিকে প্রেমিকার অনশনের খবর পেয়ে প্রেমিক আলম দোকান থেকেই পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাত ৯ টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রেমিকা সুমাইয়াকে নিয়ে বাড়িতে তার বাবা-মায়ের কাছে দিতে গেলে সুমাইয়া বাড়িতে থাকবে না বলে জানায়। প্রেমিক আলম চৌধুরী তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার ঘোষণা দেয়। ফলে পুলিশ রাতেই তাকে আমিনপুর থানার নিয়ে যায়।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মঈনুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেয়েটির বয়স কম। তাই বিয়ের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। আপাতত মেয়েটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
রুপপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম উজ্জ্বল মেয়েটির দেয়া অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মেয়েটি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আলম চৌধুরীর বাড়িতে উঠেছিলো। আলম চৌধুরী বাঁধের হাট এলাকার জনপ্রিয় একজন প্যারামেডিক্স চিকিৎসক। এলাকার একটি মহল ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আলম চৌধুরীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হবে বলেও তিনি জানান।
মেয়ের বাবা রফিকুল সরদার জানান, আলম আমার অবুঝ মেয়েকে ফুঁসলিয়া তার সাথে সম্পর্ক করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলম চৌধুরীর প্রতিবেশি এক ব্যবসায়ী জানান, ইতোপূর্বেও আলমের নামে এরকম বেশ কিছু অভিযোগ ছিল।
এ ব্যাপারে আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।