আরিফ খাঁন, বেড়া : সোমবার দুপুরে আকস্মিক বেড়া বাজার পরিদর্শনে এলেন বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার। বাজারের বিভিন্ন অনিয়ম খুঁজতে হঠাৎ মাছ বাজারের প্রবেশ মুখে এসে দাঁড়িয়ে গেলেন। অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করলেন- সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে আপনি দোকান খুলেছেন কেন?
পান দোকানীও নির্ভয়ে জবাব দিলেন -‘স্যার আজ কয়েকদিন দোকান বন্ধ রেখে হাতে যা ছিল সব শেষ। মহাজনের কাছে অনুনয় বিনয় করে কিছু পান এনেছি। আগেরই অনেক টাকা পাওনা রয়েছে তার। এগুলো বিক্রি করে তাকে টাকা দিতে হবে। কিছু লাভ হলে তা থেকে কিছু সংসার খরচ বের করে বাড়িতে আহারের ব্যবস্থা করবো বলে নিরুপায় হয়েই দোকান খুলেছি।’আব্দুল ওয়াদুদ নামের এ দোকানীর কথায় ইএনও মর্মাহত হন। তাকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে অবগত করে তাৎক্ষণিকভাবে দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য করেন।
এ সময় তিনি তার পরিবারের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন। আপদকালীন যাবতীয় সমস্যা তিনি দেখবেন ঘোষণা দিয়ে তাকে তার কর্মস্থলে নিয়ে যান। উৎসুক মানুষ এ সময় তার কাজের প্রশংসা করেন। বাজার পরির্দশনে এসে তিনি কয়েক ব্যবসায়ীকে সতর্ক করেন মুল্য তালিকা না টানানোর জন্য। এক ব্যবসায়ীকে দোকান খোলা রাখার দায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জনসাধারণকে অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাজারে আসতে নিষেধ করেন এবং প্রতিদিন তার অভিযান চলবে বলে জানান দিয়ে যান।