Saturday, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধারবেড়ায় বালুবাহী ড্রাম ট্রাক চাপায় ঠিকাদার নিহতমহাসড়কের দুপাশের গাছ চালক-যাত্রীদের আতঙ্ক

আমিনপুরের বাঁধের হাট বাজার লকডাউন

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

বিল্লাল মোল্লা, বাঁধের হাট থেকে ফিরে :
করোনা ভাইরাসে সর্বোচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল ৬ এপ্রিল দেশে এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ৩৫ জন করোনা রোগী সনাক্ত ও ৩ জনের মৃত্যুর পর রাজশাহী বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জেলা প্রশাসকের উদ্ধৃতি দিয়ে পাবনা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মাইকিং করা হয়। সবাইকে জানিয়ে দেয়া হয় সকাল ১১টা পর্যন্ত কাঁচামালের দোকান ও দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান। এ ছাড়া অন্য সব ধরনের যানবাহন, দোকান বন্ধ থাকবে। ঔষুধ ও চিকিৎসাসংক্রান্ত দোকান এই ঘোষণার আওতারমুক্ত থাকবে।
এরই অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকাল এগারোটার মধ্যে আমিনপুর থানা পুলিশ অত্র এলাকার সকল হাট-বাজার লকডাউন করে দেয়।
বাঁধের হাটে আজ হাটবার থাকায় সকাল থেকেই প্রচুর জনসমাগম হয়। পরে পুলিশ এসে এগারোটার মাধ্যে সকল দোকান তুলে দেয় এবং বাজার করতে আসা সবাইকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুরো বাঁধ ফাঁকা করে দেয়া হয়েছে। হাটের চার রাস্তার উপর বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সকল প্রাকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এখানে ছোট বড় প্রায় ২৫০টি বিভিন্ন রকমের দোকান আছে। হাটের দিন এখানে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়।
সকালে বাঁধের হাটে কাঁচা বাজার অনিয়মিতভাবে খুব সীমিত আকারে চলে। বাজারে সকালে করোনা ভাইরাসের ভয়কে উপেক্ষা করে কিছু কিছু মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার, মাছ ক্রয়-বিক্রয় করেন।
উল্লেখ্য, বাঁধেরহাট চর অঞ্চলের কাছাকাছি বলে এখানে আসা অধিকাংশ জনসাধারণ তেমন একটা সচেতন নয়। এলাকার সচেতন মানুষ বিষয়টা নিয়ে বেশ চিন্তিত। আশেপাশের বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা বলে বিষয়টার সত্যতা পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে আমিনপুর থানার এসআই মো. আ. রউফ বলেন, “আমরা আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে পুরো বাজার লকডাউন করে দিলাম। আমরা আমাদের থানার সকল বাজার এভাবে বন্ধ করে দিব। মানুষ তার নিজের ভালো বোঝে না। আমরা বোঝাতে বোঝাতে গলা বসিয়ে ফেলেছি। বাধ্য হয়ে সবাইকে বাঁচানোর জন্যে আমাদের কঠোর হতে হচ্ছে। এ যুদ্ধ শুধু আমাদের জন্য নয়, সমাজের সকল মানুষের জন্য।”
সুতরাং আমাদের সবার বেঁচে থাকার জন্য সবাইকে সরকারি নির্দেশ মেনে ঘরে থাকতেই হবে বলে মনে করেন সচেতন জনগন।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর