Monday, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীকে নির্বাচনে চান পাবনার সংস্কৃতিকর্মীরাওনার্স পরিচয় দেন ডাক্তার, দিচ্ছেন সর্ব রোগের চিকিৎসাডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

বেড়ায় অনুমোদনহীন ক্লিনিকে সিজার : প্রসূতির মৃত্যু

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

বেড়া প্রতিনিধি : নিজের কর্মস্থল পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার না করে একটি অবৈধ ক্লিনিকে সিজার করতে গিয়ে ডা. শারমিন সুলতানার হাতে এক প্রসূতির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বেড়া উপজেলার দি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকে সিজার করতে গিয়ে সাথী খাতুন (২২) নামে এক রুগীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সাথী সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার চৌহানী গ্রামের জহুরুল ইসলামের স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
রোগীর স্বামী জহুরুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী সন্তান সম্ভাবা হওয়ায় বেড়ার দি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকে দেখাতে নিয়ে যাই। ক্লিনিকের মালিক মিসাইল বলেন, আপনার স্ত্রীর দ্রুত সিজার করতে হবে। তা না হলে মা ও সন্তানকে বাঁচানো যাবে না। আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানের কথা ভেবে সিজার করাতে রাজি হই। সিজার করার পর আমার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে এনায়েতপুর নেবার পথে তার মৃত্যু হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শারমীন সুলতানা বলেন, সিজার করার পর রক্তের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। রোগীর স্বজনেরা রক্ত ম্যানেজ করতে না পারায় আমরা এনায়েতপুর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিই।
আপনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হয়ে কেন অনুমোদনহীন ক্লিনিকে সিজার করলেন, জানতে চাইলে ডা. শারমিন সুলতানা বলেন, ওই সময় সিজার না করলে মা এবং সন্তান দু’জনই মারা যেত। মানবিক কারণে সিজারটি তো আপনি আপনার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করতে পারতেন। তা না করে অনুমোদনহীন ক্লিনিকে করলেন কেন- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পাবনা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. আনান সাহেবের ক্লিনিক এটা। তার অনুরোধে আমি ওখানে সিজার করেছি। এদিকে এনেসথেসিয়ার ডাক্তার খ.ম ইসমাইল হোসেন শাওন বলেন, ম্যাডাম আমাকে অনুরোধ করায় আমি সেখানে গিয়ে এনেসথেসিয়া করেছি। এনেসথেসিয়ার উপর আপনার কোন ডিগ্রি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭দিনের একটি কোর্স করা আছে।
শুক্রবারে এখবর লেখা পর্যন্ত শিশুটি জীবিত রয়েছে বলে জানা গেছে।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর