বিশেষ প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের আক্রমণে এখন বেশামাল বিশ্ব। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ছে ভালমত। দেশে আক্রান্তের সংখ্যাও যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। পাবনা জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা এখনো শূন্য। আর এই শূন্য সংখ্যা ধরে রাখতে হলে বাড়াতে হবে আরও কঠোর নজরদারি। কেননা পাবনা জেলার পাশের জেলা রাজবাড়িতে করোনা রুগী দেখা দিয়েছে ৬জন। আর মানিকগঞ্জে আক্রান্ত সংখ্যা ৫ জনে, যা চোখ রাঙাচ্ছে পাবনাকে। আর এতেই হুমকিতে পাবনাবাসী। কেননা পাবনা জেলার সাথে মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়ির যোগাযোগের একমাত্র উপায় নদী পথ। আর নদী পার হওয়ার মাধ্যম লঞ্চ, স্পীড বোর্ড, ট্রলার/নৌকা। সরকারিভাবে দেশে যখন লকডাউন শুরু হয়েছে তখন থেকেই কাজিরহাট লঞ্চঘাট স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় লকডাউন করা হয়েছে অনেক আগেই। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দেখা যায়- ঢালারচর, কাশেম মোড়ের রাখাল গাছি, অন্তর মোড়, উড়িয়াকান্দি ঘাট থেকে গোপনে গোপনে ট্রলারে জনসাধারণ রাজবাড়ি ও আরিচা পারাপার হচ্ছে। ফলে করোনা ভাইরাস পাবনা জেলায় যে কোন সময় প্রবেশ করতে পারে বলে সাধারণ মানুষ ধারনা করছে।
গতকাল ১৩ এপ্রিল ভোরে কাজিরহাট থেকে আধা কিলোমিটার দূর থেকে যাত্রীবাহী ট্রলার আরিচার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এ খরব পেয়ে আমিনপুর থানার পুলিশ কাজিরহাটের ঐজায়গায় অবস্থান করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রলারসহ পালিয়ে যায়।
এ সম্পর্কে রুপপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম উজ্জলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,”কাজির লকডাউনের পর প্রথম দিকে কিছু ট্রলার চলাচল করেছিল, তবে আমি প্রশাসনের সহযোগিতায় তা বন্ধ করে দিয়েছি। এখন কাজিরহাটের পূর্বপাশের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ট্রলারে আগত লোকজন নামছে বলে খবর পেয়ে প্রশাসনকে অবগত করেছি। ”
এদিকে করোনা আক্রান্ত এলাকার লোকজনের আনাগোনায় পাবনা জেলার লোকজন রয়েছে করোনা হুমকির মধ্যে। এখনই প্রতিরোধ করা না গেলে অচিরেই পাবনা অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে মরণঘাতি করোনা মনে করে পাবনাবাসী।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন ট্রলার চলার কথা নয়। পুলিশ সবসময় নদীতে নজরদারীতে রয়েছে। তারপরেও যদি এরকম কিছু ঘটে তবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।