Monday, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীকে নির্বাচনে চান পাবনার সংস্কৃতিকর্মীরাওনার্স পরিচয় দেন ডাক্তার, দিচ্ছেন সর্ব রোগের চিকিৎসাডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

অসহায় মানুষের জন্য নিজ কাঁধে ত্রাণ নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে ইউপি চেয়ারম্যান মিরোজ!

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

গোলাম মাহবুব : কখনও নিজের কাঁধে উঠিয়ে, কখনো বা মাথায় করে ত্রাণ-উপহার নিয়ে অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বেড়া উপজেলার মাশুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তরুণ সমাজসেবক মিরোজ হোসেন। গ্রামের দুর্গম পথে কখনো পায়ে হেটে, কখনো ভ্যানে চড়ে, কখনো বা ভ্যান গাড়ি ঠেলে দুস্থ, অসহায়, দরিদ্র, হতদরিদ্র, কর্মহীন গৃহবন্দি মানুষগুলোর পাশে সরকারি সাহায্যের পাশপাশি নিজ উদ্যোগে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হাতে হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন তিনি।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যখন হোম কোয়ারেন্টাইনে, বাড়ি থেকে বের না হয়ে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করছেন। সে সময়ে নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করেই তার ইউনিয়নের ২৭টি গ্রাম চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন।
তিনি বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মাশুমদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ।
গত কয়েকদিনে মাশুমদিয়া ইউনিয়নের খানেবাড়ি, রূপগঞ্জ, পুরান মাশুমদিয়া, রাজধরদিয়ার চর, বালুন্দির চর, শ্যামপুর চর, ত্রিমোহনি বাজার, ফকিরকান্দি, কাজীপাড়াসহ ২৭টি গ্রামে সরকারি ১০ কেজির চাল দুই কিস্তিতে ৬১০ জন ভূক্তভোগীর মধ্যে নিজে উপস্থিত থেকে এবং বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন। সেই সাথে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতিক হয়ে গেলেন।
আলাপকালে মিরোজ হোসেন বলেন, সরকারি ত্রাণ সহায়তা ছাড়াও নিজ উদ্যোগে চাল, আলু, ডাল ও তেল মিলে ১৪৭১টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। সরকারের ভিজিডি প্রকল্পে ৩১ মার্চ ও ১২ এপ্রিল ২৮৬ পরিবারের কার্ডধারীদের মধ্যে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১০ টাকা কেজি মূল্যে ১২২০ জন ৩০ কেজি করে চাল পেয়েছেন। এখন অসহায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। প্রতিটি এলাকা পরিদর্শন করে ইতোমধ্যে আরও ১৪৩৮ জনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ত্রাণ সহায়তা চেয়েছি। তিনি ৬৫৪ জনের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। হয়তো আগামী অল্প সময়ের মধ্যেই এই ত্রাণগুলো সংশ্লিষ্ট পরিবারে পৌঁছে দিতে পারবো।


তিনি আরও বলেন, আমার এই কাজে সহোযোগিতা করেছেন আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, আইনজীবী, যুবসমাজসহ নানা শ্রেণির মানুষ। আমি তাদের নিকট চির কৃতজ্ঞ।
তিনি দৃর কণ্ঠে বলেন, আমি বিশ্বাস করি সরকারি যে বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদে আসে। সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে বিতরণ করা হলে খাদ্য সংকট হবে না- কেউ না খেয়ে থাকবে না। কিন্তু অনেক স্থানেই ত্রাণের বরাদ্দ সুষ্ঠুভাবে বন্টন হচ্ছে না। মাশুমদিয়া ইউনিয়নের একটি পরিবারও না খেয়ে থাকবে না এটা আমার বিশ্বাস ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে শতভাগ দাবি রাখছি। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে গোপনে খোঁজ রাখছি এবং সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, ইউনিয়নের প্রত্যেক গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা ও ওষুধ সেবায় যাতে অসুবিধা না হয়। সে জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর