মাসুম শিকদার : করোনা ভাইরাসে সবাই যখন লকডাউন নিয়ে ঘরবন্দি ঠিক তখন ঝুঁকি নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে পত্রিকা দিয়ে আসছে কাশিনাথপুরের হকাররা। তাদের নেই কোন করোনা সুরক্ষা সরঞ্জাম। প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত আমিনপুর থানার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাড়িতে বাড়িতে, দোকানে দোকানে গত ২০ বছর ধরে পত্রিকা বিক্রি করেন মো. আলতাফ হোসেন। তিনি বলেন, বহুদিন এ পেশায় আছি, ইচ্ছে করলেই পেশা পরিবর্তন করতে পারি না। কাশিনাথপুর থেকে সাইকেল যোগে সকাল ৭টা থেকে আমিনপুর, বাধেঁরহাট, কাজিরহাট, ত্রিমোহনী বাজার, স্লুইসগেট, তালিম নগর,আসাদগেট, সাগরকান্দি, খলিলপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে করোনার ঝুঁকি নিয়ে পত্রিকা বিলি করেন আলতাফ হোসেন। তিনি কষ্ট নিয়ে বলেন, পত্রিকা অফিস, সরকার বা কোন হৃদয়বান ব্যক্তি আমাদের নিয়ে ভাবে না। তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস হতে পারে জেনেও পেটের দায়ে কাজ করি।
মুঠোফোনে প্রথম আলোর পাবনা প্রতিনিধি সরোয়ার মোর্শেদ বলেন, অবশ্যই হকারদের করোনা ভাইরাস সূরক্ষা সরঞ্জাম দরকার। বিভিন্ন পত্রিকা অফিস থেকে সূরক্ষা সরঞ্জাম হকারদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেটা মাঠ পর্যায়ে দেওয়া হয়েছে কি না- সেটা জানতে হবে।
মুঠোফোনে কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিলন মাহমুদের সাথে। তিনি বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, হকার যদি খুব বেশি লোকজনের মধ্যে চলাচল না করে সে ক্ষেত্রে মাস্ক পড়লেই চলবে এবং কমপক্ষে তিন মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আর যদি ভীরের মধ্যে চলাচল করে তবে অবশ্যই তাকে করোনা ভাইরাস সূরক্ষা সরঞ্জাম পড়তে হবে”।