স্টাফ রিপোর্টার : গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) পাবনায় চিকিৎসক ও নার্সসহ নতুন করে ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাবনা সিভিল সার্জন অফিস । এদের মধ্যে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক, একজন স্টাফ নার্স, একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং মানিক মজুমদার নামে পাবনার একজন লেখক রয়েছেন। মানিক মজুমদারের আক্রান্তের খবর জানাজানি হলে পাবনা শহরের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্টাপাল্টা তথ্য দিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করতে থাকে। কেউ কেউ বলেছেন- মানিক মজুমদার ১৫ দিন আগে ভারত থেকে করোনা নিয়ে এসেছেন, কেউ লিখেছেন- আক্রান্ত হবার পরও মানিক মজুমদার শহরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। তবে মানিক মজুমদার অস্বীকার করেন এসব অভিযোগ। তিনি বলেন, আমি গত তিন মাসের ভেতর ভারতে যাইনি। তাছাড়া করোনা শনাক্তের পর থেকে আমি বাড়িতেই অবস্থান করছি।
মানিক মজুমদার জানান, আমার শরীরে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণই নেই। সামান্য কাশির কারণে স্বপ্রণোদিত হয়ে কৌতুহলবশত পরীক্ষা করিয়েছিলাম। ৭দিনে রিপোর্ট পেলাম পজেটিভ! এখন আমি পুরোপুরিভাবেই সুস্থ আছি।
তিনি আরও বলেন, বিকৃত রুচির কিছু যুবক আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে, বিভ্রান্ত করছে সাধারণ মানুষকে।
এদিকে মানিক মজুমদারের করোনা আক্রান্তের খবর ভাইরাল হবার পরে পাবনার সিভিল সার্জন অফিস থেকে মানিক মজুমদারকে জানানো হয়েছে- তার নমুনা পরীক্ষা ভুলও হতে পারে। পুনরায় নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠাবে কর্তৃপক্ষ।
পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কেএম আবু জাফরের সাথে মানিক মজুমদারের মুঠোফোনে কথোপকথনের অডিও এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। তিনি মানিক মজুমদারকে বলেন, আপনার নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করা হবে। আপনার রিপোর্ট আমরা নিশ্চিত নই। আপনার ও আপনার পরিবারের সবার নমুনা পুনরায় আমরা সংগ্রহ করে পাঠাবো।
মানিক মজুমদার এবং খলিল নামের আরেক ব্যক্তির রিপোর্ট সম্পর্কে সিভিল সার্জন অফিস সন্দিহান বলে ওই কথোপকথন থেকে জানা যায়। তবে নিশ্চিত না হয়ে করোনার রোগী ঘোষণা দেয়াতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। করোনা আক্রান্তের খবরে মানিক মজুমদার সপরিবারে আতঙ্কে রয়েছেন। অবিলম্বে তিনি সঠিকটা জানতে চান।
শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে আক্রান্তের খবর রোগীকে না জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। ভুল পরীক্ষার খবরে অনেক বড় ধরণের বিপদ ঘটতে পারে বলে পাবনার বিশিষ্টজনরা মনে করেন।