সাঁথিয়া প্রতিনিধি : পাবনার আতাইকুায় প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে নগদ প্রায় ছয় লাখ টাকা ও আরো সাত লাখ টাকার চেক ছিনতাই করে পালানোর সময় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিনসহ (২৫) তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (১০ মে) দুপুরের পরে সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার আতাইকুলা বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- উপজেলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বৃহস্পতিপুর গ্রামের মন্টু মৃধার ছেলে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন (২৮), তার আপন বড় ভাই রানা মৃধা (৩২) এবং একই গ্রামের মফিজ প্রমানিকের ছেলে শিকন হোসেন (৩০)।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাঁথিয়া উপজেলার বৃহস্পতিপুর গ্রামের সুপরিচিত ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম নগদ পাঁচ লাখ পঁচাশি হাজার আটশত টাকা ও সাত লাখ দশ হাজার টাকার চেক অগ্রণী ব্যাংকের আতাইকুলা শাখায় জমা দিতে যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে আতাইকুলা বাজারের মধ্যে পৌঁছলে ভিড়ের মধ্যে রুহুল আমিন ও তার অনুসারীরা ছুরি দিয়ে আঘাত করে তার নিকট থেকে টাকা ও চেক ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় ব্যবসায়ী সিরাজুলের চিৎকারে স্থানীয়রা রুহুল ও তার দুই সঙ্গীকে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে নগদ চার লাখ বিশ হাজার তিনশত টাকা ও চেক উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যপারে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সিরাজুল বাদী হয়ে আতাইকুলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছাত্রলীগ সহসভাপতির আটক হওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক জানিয়ে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না। এক্ষেত্রে, অপরাধে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেলে তাকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।’