ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর শাহিনুর রহমান (৩০) নামে এক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ হয়েছে। তিনি সাঁড়া ইউনিয়নের আশনা গ্রামের শামসের রহমান শাম হুজুরের ছেলে। সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক রানা সরদার শাহিনুর ইসলামের করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাহিনুর রহমান লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওটিবয় হিসেবে কর্মরত। তিনি আউট সোসিং হিসেবে কাজ করেন।
মুঠোফোনে শাহিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ৫ মে তারসহ মোট ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (১২ মে) লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে মুঠোফোনে জানানো হয় সেসহ আরো একজনের ফলাফল পজেটিভ এসেছে। বাড়িতেই তাকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। তবে কোন উপসর্গ তার নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. এফ এ আসমা খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বুধবার তার বাড়িতে প্রশাসনের লোকজনকে নিয়ে যাবো। তার বাড়ি লকডাউন করা হবে। তিনি আরো বলেন, তার মধ্যে কোন উপসর্গ নেই এবং আইসোলেশনেও ছিলেন না। গত ৫ মে পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানোর ৭ দিন পর রিপোর্ট এসেছে। তিনি বাড়িসহ বাইরে মেলামেশার করার পাশাপাশি অফিসও করেছেন।
এর আগে গত সোমবার ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ঈশ্বরদী উপজেলা জাসদের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বাচ্চু’র করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে। তিনি ঈশ্বরদী শহরের বিমানবন্দর সড়কের রহিমপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ঢাকা কুর্মিটোলা করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এছাড়াও গত শুক্রবার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের রেহানুল করিম রেবিন নাটোর হাসপাতালে কর্মরত এক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা ফলাফল পজেটিভ আসে। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ নিয়ে পাবনা জেলায় মোট ১৭ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।