Sunday, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীকে নির্বাচনে চান পাবনার সংস্কৃতিকর্মীরাওনার্স পরিচয় দেন ডাক্তার, দিচ্ছেন সর্ব রোগের চিকিৎসাডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

থামছেই না কাজিরহাট-আরিচা নৌপথে যাত্রী পারাপার

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

পাবনা প্রতিনিধি : সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাবনার বেড়া উপজেলার কাজিরহাটে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় বিশেষ কৌশলে যাত্রী পারাপার হচ্ছে প্রতিদিন। কেউ কর্মস্থলে ঢাকার উদ্দেশ্যে কেউ আবার ঈদকে সামনে রেখে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করতে বাড়িতে আসছে। এই সুযোগে পারাপার করার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে চার থেকে পাঁচগুণ বেশি ভাড়া।
জানা যায়, কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যাত্রী পারাপারের বৈধ নৌযান হলো স্পিডবোট ও লঞ্চ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় দুমাস ধরে এ ধরনের নৌযানের চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগে যাত্রী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। অভিযোগ রয়েছে ইঞ্জিনচালিত নৌকার মালিকেরা আমিনপুর থানা পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে যাত্রী পারাপার করে যাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে যাত্রী ওঠানো ও নামানোর জন্য কাজীরহাটের মূল নৌঘাটের পরিবর্তে ঘাট থেকে কিছুটা দূরের রাজধরদিয়া নামের একটি চর নামক স্থান। যাত্রীরা বেশ কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে ওই স্থানে যাতায়াত করছেন।
মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল দশটার দিকে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের দিক থেকে যাত্রীর চাপ ব্যাপক বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে আরিচা থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো কাজীরহাটের কাছে সুবিধাজনক জায়গায় যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যাত্রীদের নামানো হচ্ছে রাজধরদিয়া নামের একটি চর এলাকায়। সেখান থেকে যাত্রীরা আধা কিলোমিটারের মতো পায়ে হেঁটে সিএজিচালিত অটোরিকশায় উঠে যে যার পাবনার বিভিন্ন নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন। তবে সরেজমিনে কাজীরহাট নৌঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মূল ঘাট একেবারেই ফাঁকা। সেখানে পুলিশের টহলও নজরে পড়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, সাধারণ সময়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রীদের ভাড়া ৫০-৬০ টাকা হলেও এখন নেওয়া হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। এ ছাড়াও কাজিরহাট থেকে কাশিনাথপুর সিএনজি’র ভাড়াও স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি নিচ্ছে।
কাজীরহাট নৌঘাট এলাকার ইঞ্জিচালিত নৌকাগুলোর মালিকদের অন্যতম নেতৃত্বে রয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ঠান্টু শেখ। তিনি দাবি করে বলেন, আমাদের এই পাড়ের (বেড়া উপজেলার) সব ট্রলার দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। যাত্রী নিয়ে দুই-একটা ট্রলার যা আসছে তা ওই পাড়ের (আরিচা এলাকার)। মঙ্গলবার সকালে আরিচা থেকে যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার আমাদের ঘাটের দিকে এসেছিল। কিন্তু সেটিকে পুলিশের সহায়তায় আমরা আরিচার দিকে আবার তাড়িয়ে দিয়েছি।
আমিনপুর থানার ওসি এসএম মঈনউদ্দিন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কাজীরহাট-আরিচার মধ্যে যাত্রী নিয়ে কোনো নৌকাই চলছে না। কাজীরহাটে এ ব্যাপারে পুলিশ মোতায়েন আছে। আর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবী করেন।
ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচলের অভিযোগ আমি পেয়েছি। বিষয়টি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর