আরিফ খাঁন, বেড়া : পাবনার বেড়া উপজেলায় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপারের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকার চারজন মাঝি ও নয়জন যাত্রীকে জরিমানা করেছেন। এ ছাড়াও সিএনজি চালক তিনজনসহ ঘাট এলাকায় যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগে একজনকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার (২০ মে) বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আনাম সিদ্দিকী’র নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত বেলা এগারোটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত কাজিরহাট-আরিচা নৌপথে অভিযান চালিয়ে এ দন্ড দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা জানান, কাজিরহাট-আরিচা নৌপথটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এমনিতেই এ নৌপথে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রী পারাপার নিষিদ্ধ। এর ওপর করোনা পরিস্থিতির কারণে এ নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাজিরহাট-আরিচা নৌপথে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রী পারাপার চলছেই। ঈদের সামনে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ৮০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে পাবনা নিউজসহ কিছু অনলাইনে গতকাল একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর বেড়ার ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী ও সুজানগর সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফরহাদ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও আমিনপুর থানা পুলিশ ও নগরবাড়ি নৌ পুলিশ ভ্রাম্যমান আদালতের সময় উপস্থিত থেকে সহায়তা প্রদান করেন।
অভিযানে দ্রুতগতির স্পিডবোট ব্যবহার করা হয়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে আরিচা থেকে কাজিরহাটের দিকে যাত্রী নিয়ে আসা দুটি নৌকা যমুনার চরে যাত্রীদের নামিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে। আদালত তাড়া করে নৌকা দুটিকে আটক করে চারজন মাঝির কাছ থেকে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এ সময় ইঞ্জিনচালিত নৌকার নয়জন যাত্রীকে ৩০০ টাকা করে মোট দুই হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালানোর এক পর্যায়ে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু তুলতে দেখে খননযন্ত্রসহ একটি নৌকা আটক করেন। পরে নৌকার মালিক ইয়াকুব মোল্লাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আদালত কাজিরহাট নৌঘাটের কাছে সিএজি চালক তিনজনকে ২০০ টাকা করে মোট ৬০০ টাকা জরিমানা করেন। অভিযানে সর্বমোট ৬৪ হাজার ৩ শত টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমান আদালত।
ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, অভিযান চলাকালে আরিচা থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে আসার বিষয়টি হাতেনাতে ধরেছি। ওই নৌপথে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার আর যাতে না হয় সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক নজর থাকবে।