শেখ রুবেল আহমেদ, সুজানগর প্রতিনিধি : পাবনার সুজানগরের হাটখালি ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের গাজনার বিল এর হাজার হাজার বিঘা ধান বৃহস্পতিবারের ভারী বর্ষণসহ কয়েকদিন ধরে যেভাবে বর্ষণ হয়েছে তাতে গাজনার বিল এর লক্ষ লক্ষ বিঘা ধান চলে গিয়েছে। এতে করে গাজনার বিলসহ আশেপাশের কৃষকদের হাহাকার এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ধান চাষীরা।
হাটখালী ইউনিয়ন শোলাকুড়া গ্রামের ধান চাষী কাজী জনাব হোসেন জানান, তিনি এ বছরে প্রায় ১২ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন, কিন্তু ধান কাটা সবে শুরু করেছেন। মাত্র দুই বিঘা ধান কেটেছেন, তারপরেই প্রবল ভারী বর্ষণে তার ধান তলিয়ে গিয়েছে। এতে করে তার এতো অর্জিত কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন না।
এরকম গাজনার বিল এর অধিকাংশ কৃষক তাদের ১ বছরের খাদ্য তাদের কষ্টে অর্জিত ধান হয়তো তারা আর কাটতে পারবেন না। এতে করে সুজানগরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকদের ও দরিদ্র মানুষের দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।
স্থানীয় আরো একজন জনপ্রতিনিধি খন্দকার নুরুল ইসলাম রিন্টু বলেন, গাজনার বিল এর যে পরিমাণ ধান পানিতে তলিয়ে গিয়েছে এতে করে সরকার দ্রুত গাজনার বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে অত্র থানায় শুধু নয়, পাবনা জেলায় যে হাজার হাজার বিঘা ধান উৎপাদন হয় সেটা কৃষক না কাটতে করতে পারায় সুজানগর থানা এলাকাসহ পাবনা জেলায় অভাব-অনটন বেড়ে যেতে পারে। এমনিতেই যে মহামারী করোনা ভাইরাসে মানুষ দিশেহারা কর্মহীন ও বেকার হয়ে পড়েছে, তারপর আবার এই ধান তলিয়ে যাওয়ায় গাজনার বিলের অত্র অঞ্চলের কৃষকদের কষ্ট অর্জিত ধান কাটতে না পারায় অত্র এলাকায় দুর্ভিক্ষসহ দরিদ্রতা দেখা দিতে পারে ।
গাজনার বিল এর ভারী বর্ষণ হলেই যে বৃষ্টিতে ধান তলিয়ে যায় সেটা দ্রুত সমাধান করে গাজনার বিল অঞ্চলের ধান চাষীদের উপকৃত করতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অত্র এলাকার জনসাধারণ।