Friday, ডিসেম্বর ৮, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধারবেড়ায় বালুবাহী ড্রাম ট্রাক চাপায় ঠিকাদার নিহতমহাসড়কের দুপাশের গাছ চালক-যাত্রীদের আতঙ্ক

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের প্রধান আসামী গ্রেফতার॥ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ দিল চমকপদ তথ্য

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাবনার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা, স্ত্রী ও মেয়ে সন্তান স্বপরিবারে হত্যার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস মসজিদের ইমাম তানভীর ইসলাম (২৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশের নিকট তানভীর হত্যায় জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছে। রোববার (০৭’ জুন) দুপুরে পাবনা পুলিশ লাইনস্ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম।

তিনি সাংবাদিকদের আর জানান, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন ছিলেন নিঃসন্তান। একদিন বয়সের শিশু সানজিদাকে পালক নিয়ে লালন পালন করছিলেন। এর মধ্যে দেড় বছর আগে বাড়ির পাশে ফায়ার সার্ভিস’র মসজিদের ইমাম তানভীরের ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে তাকেও সন্তান হিসেবে আপন করে নেন তারা। তানভীরও তাদের বাবা-মা হিসেবে ডাকতে থাকেন। ব্যাংক, পোস্ট অফিসে টাকা লেনদেন তানভীরকে সাথে নিয়ে যেতেন আব্দুল জব্বার। এখান থেকেই জব্বারের টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কারের প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তানভীরের। অনেকদিন ধরেই টাকা গহনা হস্তগত করার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে হত্যাকান্ডের। এর মধ্যে ২৯ মে ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামে চলে যায় তানভীর। ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ৩১ মে সে পাবনায় ফিরে আসে।

ওইদিন রাতে ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল জব্বারের বাড়িতে অবস্থান নেয় তানভীর। রাত ২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় আব্দুল জব্বার, তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন ও মেয়ে সানজিদা (১২) কে কুপিয়ে ও কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে নগদ ২ লাখ টাকা, এক লাখ ভারতীয় রুপি ও স্বর্ণের গহনা লুট করে পালিয়ে যায়। সকলের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরে রক্তমাখা কাপড়ে বাথরুমে গিয়ে গোসল করে বাড়ির সমস্ত গেটে তালা দিয়ে সন্তর্পনে প্রস্থান করে তানভীর। যখন সে বাইরে যাচ্ছিল, তখন মসজিদে ধ্বনিত হচ্ছিল আযান। সে যে মসজিদে ইমামতি করতো সেই মসজিদের আযানেই সে নামাজ না পড়ে বাড়ির পথে রওয়ানা দেয়।

শুক্রবার (০৫’জুন) দুপুরে ওই বাড়ি থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারপর থেকেই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গত রাতে নওগাঁর নিজ বাড়ি থেকে তানভীরকে গ্রেপ্তার করে। নৃশংস হত্যাকান্ডে জড়িত তানভীরের শাস্তি নিশ্চিতে সব ধরনের আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর