Sunday, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীকে নির্বাচনে চান পাবনার সংস্কৃতিকর্মীরাওনার্স পরিচয় দেন ডাক্তার, দিচ্ছেন সর্ব রোগের চিকিৎসাডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

কাশিনাথপুরে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : কাশিনাথপুরে অবস্থিত পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন বেড়া, সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ করেছে ওই ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। করোনাকালে এরূপ অস্বাভাবিক ভুতুড়ে বিলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জাতসাখিনী ইউনিয়নের রাজনারায়নপুর, হরিদেবপুর, শিবপুর, নয়াবাড়ি গ্রামের অর্ধশত গ্রাহকের মে মাসের বিদ্যুৎ বিলে ব্যাপক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেছে। বিদ্যুৎ বিলে দেখা গেছে বিগত প্রায় ৮ মাসে যে গ্রাহক মাসিক সাতশ’ থেকে আটশ’ এক টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছেন, তার মে মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা। আবার যে গ্রাহক মাসিক সর্বোচ্চ চারশত টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছে তার মে মাসের বিল এসেছে দেড় হাজার টাকার উপরে। গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে পাবার পর থেকে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে বিলের কাগজসহ অভিয়োগ দিচ্ছেন যেন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয় এ বিষয়ে।
মাশুন্দিয়া ইউনিয়নের পুরাণমাশুন্দিয়া গ্রামের কয়েক স্কুল শিক্ষক জানান, ওই এলাকার একজন গ্রাহকের গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিলের পরিমান ছিল যথাক্রমে ৫০০, ৫৫০ এবং ৫৮০ টাকা। অথচ মে মাসে তার বিদ্যুত বিল দাড়িয়েছে ২,৫০০ টাকা।
করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন এ সকল দরিদ্র মানুষের উপর যা “মরার উপর খঁড়ার ঘাঁ” হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল কারচুপির অভিযোগ তুলে এমন খামখেয়ালী আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এসব সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
সুজানগর উপজেলার আহাম্মদপুর গ্রামের হুমায়ুন কবির নামের এক গ্রাহক বলেন, করোনাকালে যখন বর্তমান সরকার সকল ক্ষেত্রে জনগণের দুঃখ-দূর্দশা ও অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে সর্বোত্তমভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তখন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এরকম গ্রাহক হয়রানীমূলক কর্মকান্ড সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করছে ও উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে অভিমত সচেতন মহলের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর এক এলাকা পরিচালক জানান, করোনার কারণে বিগত দুই থেকে তিন মাস গ্রাহকের পূর্ববর্তী সময়ের বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে আনুমানিক গড় বিল প্রদান করা হয়েছে। যার ফলে বিদ্যুৎ বিলে কিছুটা অসঙ্গতি থাকতে পারে। তবে কারো বিলে কোন প্রকার ভুল থাকলে বা কেউ অভিযোগ করলে তা সংশোধন করা হবে।
কিন্তু ভূক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, বিদ্যুৎ অফিসে কোনপ্রকার অভিযোগ দেয়া যাচ্ছে না। কর্মকর্তারা গ্রাহকের সাথে কোন কথাই বলছেন না।
এ ব্যাপারে পবিস-২ এর জেনারেল ম্যানেজারের ফােনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর