নিজস্ব প্রতিবেদক : কাশিনাথপুরে অবস্থিত পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন বেড়া, সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ করেছে ওই ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। করোনাকালে এরূপ অস্বাভাবিক ভুতুড়ে বিলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জাতসাখিনী ইউনিয়নের রাজনারায়নপুর, হরিদেবপুর, শিবপুর, নয়াবাড়ি গ্রামের অর্ধশত গ্রাহকের মে মাসের বিদ্যুৎ বিলে ব্যাপক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেছে। বিদ্যুৎ বিলে দেখা গেছে বিগত প্রায় ৮ মাসে যে গ্রাহক মাসিক সাতশ’ থেকে আটশ’ এক টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছেন, তার মে মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা। আবার যে গ্রাহক মাসিক সর্বোচ্চ চারশত টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছে তার মে মাসের বিল এসেছে দেড় হাজার টাকার উপরে। গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে পাবার পর থেকে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে বিলের কাগজসহ অভিয়োগ দিচ্ছেন যেন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয় এ বিষয়ে।
মাশুন্দিয়া ইউনিয়নের পুরাণমাশুন্দিয়া গ্রামের কয়েক স্কুল শিক্ষক জানান, ওই এলাকার একজন গ্রাহকের গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিলের পরিমান ছিল যথাক্রমে ৫০০, ৫৫০ এবং ৫৮০ টাকা। অথচ মে মাসে তার বিদ্যুত বিল দাড়িয়েছে ২,৫০০ টাকা।
করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন এ সকল দরিদ্র মানুষের উপর যা “মরার উপর খঁড়ার ঘাঁ” হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল কারচুপির অভিযোগ তুলে এমন খামখেয়ালী আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এসব সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
সুজানগর উপজেলার আহাম্মদপুর গ্রামের হুমায়ুন কবির নামের এক গ্রাহক বলেন, করোনাকালে যখন বর্তমান সরকার সকল ক্ষেত্রে জনগণের দুঃখ-দূর্দশা ও অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে সর্বোত্তমভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তখন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এরকম গ্রাহক হয়রানীমূলক কর্মকান্ড সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করছে ও উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে অভিমত সচেতন মহলের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর এক এলাকা পরিচালক জানান, করোনার কারণে বিগত দুই থেকে তিন মাস গ্রাহকের পূর্ববর্তী সময়ের বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে আনুমানিক গড় বিল প্রদান করা হয়েছে। যার ফলে বিদ্যুৎ বিলে কিছুটা অসঙ্গতি থাকতে পারে। তবে কারো বিলে কোন প্রকার ভুল থাকলে বা কেউ অভিযোগ করলে তা সংশোধন করা হবে।
কিন্তু ভূক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, বিদ্যুৎ অফিসে কোনপ্রকার অভিযোগ দেয়া যাচ্ছে না। কর্মকর্তারা গ্রাহকের সাথে কোন কথাই বলছেন না।
এ ব্যাপারে পবিস-২ এর জেনারেল ম্যানেজারের ফােনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।