নিজস্ব প্রতিনিধি : সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম বাজারের অদূরে বনগ্রাম-বামনডাঙ্গা সড়কে ভূমি ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম সরকারি রাস্তা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের ইউপি সদস্য. সাবেক সদস্য, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তার এ জবর দখলের প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না।
লিখিত অভিযোগে গ্রামবাসী জানান, বামনডাঙ্গা গ্রামের রাস্তাটি পাকা করা। পাকা রাস্তার পাশে সবাই বাড়িঘর নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। এ ক্ষেত্রে রাস্তার পাশের বাড়িওয়ালারা বিবেক বিবেচনা বজায় রেখে পাকা রাস্তার পাশে কিছু অংশ বাদ রেখেই বাড়িঘর নির্মাণ করেছেন। এতে যানবাহন চলাচলে কোনরূপ বিঘ্ন ঘটে না। সম্প্রতি এ গ্রামের একজন ভূমি ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম (পিতা- মৃত লাটু উদ্দিন মোল্লা, গ্রাম বামনডাঙ্গা) বামনডাঙ্গা গ্রামের শেষ মাথায় প্রায় বনগ্রাম বাজারের কাছে (লুৎফর খাঁন এর বাড়ির বিপরীতে) আয়নাল হোসেন ওরফে আয়নাল খুলু নামের এক ব্যক্তির একটি আধাপাকা বাড়ি কিনে নিয়েছেন। তিনি বাড়িটি কিনে নেয়ার পর সেখানে পাকা রাস্তা ঘেঁষে অর্থাৎ রাস্তার কাঁচা অংশ দখল করে পাকা দেয়াল তুলে ঘর নির্মাণ শুরু করে দিয়েছেন। এতে জনচলাচল মারাত্মক ব্যাহত হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পাশাপাশি দুটি ভ্যান গাড়িও চলতে পারবে না। ভবিষ্যতে সংকট আরো বাড়ার আশংকা রয়েছে বলে তারা জানান।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শহীদুলের এ অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। এমনকি তিনি বলেছেন- ‘কারো ক্ষমতা থাকলে আমার ঘর সরিয়ে দিক।’ এ অবস্থায় গ্রামবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ, অসন্তোষ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গ্রামবাসী জানান, তারা এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানা, উপজেলা প্রকৌশলী সাঁথিয়া বরাবর আবেদন করলেও রহস্যজনক কারণে কোন প্রতিকার মিলছে না। তারা জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গ্রামবাসী জানান, এলাকায় অবৈধভাবে ভূমি ব্যবসা চালান এই শহিদুল ইসলাম। তিনি কোন অনুমোদন ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে কৃষি জমিতে তার আবাসন ব্যবসা চালিয়েছেন। এখন সরকারি রাস্তা দখল শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, শহিদুল ইসলাম দুর্নীতির দায়ে একটি সিমেন্ট কোম্পানীর চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। এরপর এলাকায় কোটি টাকার ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজ কর্ম শুরু করেন।
আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে উল্লেখ্য, গ্রামবাসী অভিযোগ করেছেন ২৮ মে তারিখে।