গোলাম মাহবুব : পাবনায় ট্রেন লাইন অরক্ষিত থাকায় প্রায়ই ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ গত ৩ দিনে জেলার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানা এলাকায় ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গত এক বছরে পাবনা জেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ২০ জন।
জানা যায়, আমিনপুর থানাধীন পুরাণমাশুন্দিয়া রেলক্রসিং এলাকায় বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ট্রেনের ধাক্কায় ডা. আব্দুল লতিফ (৪০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকালে মোটরসাইকেলটি রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় ঢালারচর থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ঢালারচর এক্সপ্রেস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। মোটরসাইকেল আরোহী কোমরপুর চর এলাকার ডা. আব্দুল লতিফ ছিটকে পড়ে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়েন।
এর আগে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নান্দিয়ারা রেল গেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় গোলেজান বেগম (৮০) নামক এক বৃদ্ধা নিহত হন। নিহত গোলেজান জাতসাকিনী ইউনিয়নের নান্দিয়ারা গ্রামের মোসলেম সরদ্দারের স্ত্রী।
ঢালারচর স্টেশন অফিসার ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রেলওয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
গত তিন দিনে আমিনপুর থানা এলাকায় ২ জনের মৃত্যুর ঘটনার জন্য রেলবিভাগের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা। মূলত: রেলগেট অরক্ষিত থাকায় এবং রেললাইনে কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে পশ্চিম রেলের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার প্রকৌশলী শাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের রেল গেটে সার্বক্ষণিক গেটম্যান থাকেন। তাদের কোনো অবহেলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে না। পাবলিক নিজেরাই বিভিন্ন স্থানে গেট বানিয়ে চলাচলের রাস্তা বের করে। এসব স্থানে ঘটনা ঘটছে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।