Sunday, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীকে নির্বাচনে চান পাবনার সংস্কৃতিকর্মীরাওনার্স পরিচয় দেন ডাক্তার, দিচ্ছেন সর্ব রোগের চিকিৎসাডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে নাটক সাজিয়ে ছোট ভাইকে খুন

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সাঁথিয়া প্রতিনিধি: অসুস্থ ছোট ভাই রবিউল ইসলাম (২৪) বুঝতে পারছিলেন না বড় ভাই রমজান কেন তাকে এতো আদর করে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন। মিষ্টি খাওয়া শেষ হওয়ার পরই এক সহযোগীকে নিয়ে রমজান ছোট ভাই রবিউল ইসলামকে হত্যা করে বিছানায় শুইয়ে রাখেন। সন্ধ্যায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে রাতে তিনিই ভাই হত্যার নাটক সাজান। ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানো প্রতিবেশীকে ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের তেঁথুলিয়া কারিগরপাড়ায় শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সংঘটিত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে (২৮ সেপ্টেম্বর) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার ও গ্রামের একটি পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত রবিউল ইসলাম তেঁথুলিয়া কারিগরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর মোল্লার ছেলে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রবিউলের আপন ভাই রমজান মোল্লা (৩০) ও তার সহযোগী রুবেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রুবেল সাঁথিয়া উপজেলার সরব গ্রামের মনছুর আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সাঁথিয়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, রবিউল খুন হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক আগে প্রতিবেশী একজনের বাড়ি চুরি হয়। সে সময় তারা মাদকাসক্ত রবিউলকে দোষারোপ করেন। তারা রবিউলকে মারধর করে একটি দাঁতও ভেঙে দেন। ওই সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও রবিউল বলেছিলেন- পড়ে গিয়ে তার তাঁত ভেঙেছে।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার ভাই রমজান জানিয়েছেন- প্রতিবেশীর সঙ্গে রবিউলের ঝামেলাকে তিনি সুযোগ হিসেবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেন। তার ভাই রবিউল নেশাগ্রস্ত বলে তার স্ত্রীও বাবার বাড়ি থাকেন। তিনি পরিকল্পনা করেন- একা ঘরে থাকা অসুস্থ রবিউলকে মারা খুব সহজ হবে। আর হত্যার পর প্রতিবেশীর নামে মামলা দেয়া হবে। তারা মীমাংসার প্রস্তাব দিলে বড় অংকের টাকা আদায় করা সহজ হবে।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর