Sunday, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীকে নির্বাচনে চান পাবনার সংস্কৃতিকর্মীরাওনার্স পরিচয় দেন ডাক্তার, দিচ্ছেন সর্ব রোগের চিকিৎসাডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

ছাত্রকে শিকল দিয়ে বেঁধে থুতু খাওয়ান মাদরাসা শিক্ষক

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: কোমড়ে শিকল পেঁচিয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় তিনদিন। শুধু তাই নয় মেঝেতে থুতু ফেলে সেটাও খাওয়ানো হয়। এমনই অমানবিক ঘটনার শিকার হয়েছে মাদরাসা ছাত্র মোবারক (১১)।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের কদিমপাড়া বুড়া দেওয়ান নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক পিয়ারুল ইসলাম এক সিনিয়র ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার (৯ অক্টোবর) জুমার নামাজের জন্য ছাড়া পেয়ে শিশুটি পালিয়ে আসলে বিষয়টি ফাঁস হয়। এরপর রাতে ঈশ্বরদী থানায় এ ঘটনায় অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা- মা। রাতেই পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করেছে।

নির্যাতনের শিকার মোবারক আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের বাঁচামরা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
আটকরা হলেন- মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ আব্দুল মোমিন, শিক্ষক পিয়ারুল ইসলাম ও হেফজ সম্পন্ন করা ছাত্র সাব্বির আহমেদ।
মোবারকের বাবা নজরুল ইসলাম ও মা মুর্শিদা খাতুন থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, মাদরাসায় নির্যাতন করায় তাদের ছেলে মোবারক মাদরাসা থেকে কয়েকদিন আগে পালিয়ে যায়। সে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় তার খালার বাড়ি গিয়ে ওঠে।
সেখান থেকে তাকে বুঝিয়ে গত বুধবার (৭ অক্টোবর) আবার মাদরাসায় পাঠানো হয়। মাদরাসায় যাওয়ার পর তার ওপর শুরু হয় নতুন করে নির্যাতন। মোবারককে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে খাটের সঙ্গে আটকে রাখা হয়। এরপর পিটুনি দেয়া হয়। শুধু তাই নয় মেঝেতে একজন থুতু ফেলে সেটা তাকে দিয়ে সাতবার খাওয়ায়।

শুক্রবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন শিকল বাঁধা অবস্থায় তাকে দেখেন ও প্রতিবাদ করেন। এরপর জুমার নামাজ পড়ার জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাকে ছেড়ে দেয়। জুমার নামাজ আদায়ের সময় মোবারক পালিয়ে আসে।
মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল করিম জানান, তিনি ঘটনার সময় মাদরাসায় ছিলেন না, ছুটিতে ছিলেন। তবে তার ছুটিতে মাদরাসা কমিটির সভাপতির অনুমোদন ছিল কি-না জিজ্ঞেস করলে তখন তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি জানান, এ ঘটনার জন্য শিক্ষক পিয়ারুল ইসলাম দায়ী।
অভিযুক্ত শিক্ষক পিয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি তাকে বেঁধে রাখিনি। ওই শিক্ষার্থীর এক আত্মীয় হেফজ সম্পন্ন করা সিনিয়র ছাত্র সাব্বির আহমেদ বেঁধে রেখেছিলেন। তবে মারধরের বিষয় ও মেঝেতে ফেলা থুতু খাওয়ানোর বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

মাদরাসাটির সিনিয়র ছাত্র সাব্বির আহম্মেদ জানান, মোবারক পালিয়ে যাওয়ার কারণে তার দাদি বেঁধে রাখার কথা বলেছিলেন। তাই তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। শিক্ষক পিয়ারুল ইসলাম তাকে বেদম মারধর করেছে।
এ ঘটনায় পাবনা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ মাওলানা মো. আনছারুল্লাহ বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, খুবই অমানবিক কাজ করা হয়েছে শিশুটির সঙ্গে। মৃদু শাসন আর নির্যাতন ভিন্ন বিষয়।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় আনা হয়েছে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) ফিরোজ কবীর জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর