আরিফ খাঁন, বেড়া : মৌসুমের শুরুতেই মাছ সংকট কাটিয়ে পাবনার বেড়া উপজেলার শুটকি পল্লীগুলো এখন কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। উপজেলায় শুটকি খোলার আশেপাশে শুটকি মাছের গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিন জেলেরা মাছ এনে এসব খোলায় বিক্রি করছে। আর তাই শুটকি খোলা এখন শুটকি শ্রমিকদের কাজে সরগরম। দিনরাত মাছ শুকানো থেকে শুরু করে সেসব মাছ ট্রাকে গন্তব্যে পাঠানোতে রাত নেমে আসে।
শীতের শুরুতেই আশেপাশের নদী ও বিলগুলোতে পানি কমতে শুরু করায় জেলেদের জালে প্রতিদিন প্রচুর দেশি মাছ ধরা পরছে। এসব মাছ বাজারে বিক্রি করার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে শুটকির খোলাগুলোতে। তাই বেড়া উপজেলার শুটকি প্রস্তুতকারীরা এখন ব্যস্ত মাছ শুটকির কাজে। শীতের শুরু থেকেই তারা এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিন জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনে তা রোদে শুকানো, তারপর মাছ বাছাই করা এসব কাজেই সময় কাটছে শুটকি ব্যবসায়ীদের। বেড়া উপজেলায় উৎপাদিত শুটকি সরাসরি চলে যায় নিলফামারী জেলার সৈয়দপুরে। এ উপজেলা থেকে উৎপাদিত শুটকির মধ্যে রয়েছে পুঁটি, টাকি, ছোট বোয়াল, টেংরা, গচি, ভেদাসহ সব রকম দেশী মাছ। সর্বনিম্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে পুঁটি ৬০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে শুটকির খোলায়। এসব শুটকির কাজে বিশেষ করে মাছ শুটকির পর তা বাছাইয়ের কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিক কাজ করে। শুটকি ব্যবসায় গত বছর ভাল লাভ হওয়ায় এবছর আরও বেশি মাছ শুটকি করছেন ব্যবসায়ীরা বেড়ায় ৮ থেকে ১০টি শুটকির খোলা রয়েছে। প্রতিটি খোলায় নারী পুরুষ মিলিয়ে পনের বিশ জন কাজ করছে।
বেড়ার শুটকি মাছের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম কৈটোলা জয়নগর গ্রামের বাবলু সরদার জানান, প্রতি বছরের মত এবছরও শুটকির খোলায় মাছ শুকানো শুরু করেছি। তবে এবছর মাছের আমদানি বেশি দেখা যাচ্ছে দামও কম। বৃষ্টি আদল না হলে এবছরও ৪/৫ বার মোকামে যেতে পারবো ও শুটকির ব্যবসায় লাভের আশা করছেন বলেও তিনি জানান।