Sunday, মে ৫, ২০২৪
শিরোনাম
কাশিনাথপুরের ক্রিসেন্ট হাসপাতালে মতবিনিময় সভাপুন্ডুরিয়ায় রুপকথার আড্ডা বন্ধুমহলের ব্যাতিক্রমী ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিতসাঁথিয়ায় আগুনে কৃষকের ৭ টি ঘর ভূস্মিভুত, মানবেতর জীবন যাপনবেড়ায় কৃষি জমির মাটি ও বালি কাটার দায়ে জেল জরিমানাসাঁথিয়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে মে দিবস উদযাপনকরমজায় বিট পুলিশিং ও মতবিনিময় সভাবেড়ায় বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকা নামাজ আদায়অগ্রনী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা উধাও, গ্রেফতার ৩ কর্মকর্তাপাবনায় বিপুল পরিমাণ টাকাসহ পাউবোর দুই প্রকৌশলী আটক, পালিয়ে গেলেন ঠিকাদারসাঁথিয়ায় ডেপুটি স্পিকারের উদ্বোধনকৃত নতুন হাট ভেঙ্গে দিলেন এসিল্যান্ড

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রওশন আলীর ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট পেয়ে মাস্টার্স পাস

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসরে গেছেন সেই ২০০৮ সালে। এরও এক যুগ পর এসে মাস্টার্স (এমবিএ) পাস করলেন। সিজিপিএ ৩.৫০ পেয়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষকের নাম রওশন আলী (৭৩)। তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।

রওশন আলী পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের বান্নাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সুজানগর পৌর সদরের শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তিনি।
বয়োবৃদ্ধ রওশন আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ১৯৪৮ সালে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের বান্নাইপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সুজানগর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় (এখন সরকারি) থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। সাংসারিক কারণেই তখন আর পড়াশোনা হয়নি।

জীবিকার তাগিদে সুজানগরে শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষকতা শুরুর কয়েক বছর পর সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ইচ্ছা থাকার পরও কর্মজীবনের ব্যস্ততা আর সমস্যায় পড়াশোনা করা হয়ে ওঠেনি। তিনি ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

কিন্তু মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন না করতে পারার একটা বেদনা তার ভেতর থেকে যায়। সিদ্ধান্ত নেন এমএ পাস করবেনই। সেই ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিএ সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি হন। সম্প্রতি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। তিনি সিজিপিএ ৩.৫০ পেয়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছেন।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রওশন আলী জানান, তার দুই ছেলে। বড় ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে পাবনার একটি কলেজে বাংলা বিষয়ে সহকারি অধ্যাপক হিসেব কর্মরত। আর ছোট ছেলে চিকিৎসা সংক্রান্ত পেশায় রয়েছেন।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর