নিজস্ব প্রতিবেদক : শীঘ্রই সারাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউপি নির্বাচন। ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বেড়া উপজেলার জাতসাখিনী ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। প্রায় দুই ডজন প্রার্থী আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ শুরু করেছেন। প্রতিদিন রাতদিন তারা স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাপোর্ট পেতে চষে বেড়াচ্ছেন মাঠ। তবে পোস্টার লিফলেট অনেকেই বিতরণ করলেও মাঠ দখলে রেখেছেন হাতেগোনা দুই তিনজন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম শাহ আলম মোল্লা। ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবাবের সন্তান শাহ আলম মোল্লা কাশিনাথপুর ফুলবাগান বণিক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও জাতসাখিনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত প্রায় ১ মাসে শাহ আলম মোল্লার শো-ডাউন ও নির্বাচনী মাঠে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় তার প্রচার-প্রচারণার সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিদিন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, এখন পর্যন্ত শাহ আলম মোল্লা প্রচারণার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার সাথে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী।
আলাপকালে শাহ আলম মোল্লার বড় ভাই কাশিনাথপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি ও বেড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএম শাহবুদ্দিন টুটুল বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। পারিবারিকভাবে আমরা আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার বাবা মরহুম ইউনুস আলী মোল্লা (মাস্টার) জাতসাখিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন। জাতীয় শ্রমিক লীগ, পাবনা জেলা শাখার সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের বেড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সেই পিতার সন্তান হিসেবে আমার ছোট ভাই শাহ আলম মোল্লা আসন্ন ইউপি নির্বাচনে জাতসাখিনী ইউনিয়নের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবার দাবীদার।
আলাপকালে শাহ্ আলম মোল্লা বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছি। যার ফলে ২০০১ সালে জামাত-শিবির–বিএনপি দ্বারা ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হতে হয়েছে আমাদের। তিনি আরও বলেন, আমি জনগণের রাজনীতি করি। জনগণের সাপোর্ট নিয়ে আমি চেয়ারম্যান হতে চাই। আমি কাশিনাথপুর ফুলবাগান মোড়কে চাঁদাবাজমুক্ত এলাকা হিসেবে গড়তে ইতোমধ্যেই কাজ করে গেছি। আমি চেয়ারম্যান হলে আমার এলাকায় কোন মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না। এলাকার অনেক নেতাকর্মীর ঢল নেমেছে আমার প্রতি। জনসোত তৈরি হয়েছে। সবাই আমাকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রত্যাশা করছে। জনগণের ভালোবাসায় আমি এত দূরে এসেছি। জনগণের ভালোবাসা নিয়েই আমি আমার বাকি জীবন কাটাতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি- আমিই আওয়ামীলীগের প্রার্থী হচ্ছি।
ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা শাহ আলম মোল্লা এলাকায় এখন একজন সফল সমাজ সেবক হিসেবেই সুপরিচিত। এলাকাবাসী এখন তাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান।এখন অপেক্ষা শুধু মনোনয়ন প্রাপ্তির।