আরিফ খাঁন : যমুনার ভাঙণের কবলে পরেছে পাবনার বেড়া উপজেলার দক্ষিণ চর পেঁচাকোলা গ্রাম। ভারী বর্ষণসহ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনার নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকাসমুহের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে।
বিলীন হওয়ার আশংকায় দক্ষিণ চর পেঁচাকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার তারা স্কুলের টিন ও অন্যান্য জিনিস সরিয়ে নেয়। অথচ উপজেলার দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হবে আগস্টের ১ তারিখ থেকে। রুটিন দেয়া হয়ে গেছে। এখন স্কুলই নেই। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে ক্লাস করতে না পারায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে স্কুলটি তিন-চারবার ভাঙণের শিকার হয়েছে। এদিকে বন্যা শুরু হওয়ার পর দক্ষিণ চর পেঁচাকোলার সাথে পাঠদান বন্ধ আছে পুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর সাঁড়াশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এছাড়া বন্যার পানিতে ডুবে গেছে ৫৮ নং পাইককান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
জানা যায়, ঐ গ্রামে ভাঙন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ের উপস্থিতি একেবারে কমে গেছে। বাড়িঘর নদীগর্ভে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অনেকে তাদের বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র চলে গেছে। এদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কমকর্তার কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেখা যায় বেড়া উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তী ঘোপসিলন্দা, পেঁচাকোলা, পাইখন্দ এলাকার হুড়াসাগর নদী ও নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের সাফুল্লাপাড়া ভাঙণের শিকার। সাফুল্লাপাড়ার আংশিক এলাকা বন্যা প্লাবিত রয়েছে। এদিকে উপজেলার ভাঙন কবলিত বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে বলে বেড়া পাউবো সুত্রেও জানা যায়।
বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী জানান, বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ করা হচ্ছে এবং ভাঙন রোধে দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারকে আরও দ্রুত জিও ব্যাগ ভর্তি বালু ডাম্পিং করা নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ভাঙন রোধে সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। ভাঙন কবলিত ৬৩ টি পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।