নিজস্ব প্রতিনিধি : উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার ৫ নং করমজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারও চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক পেতে চান বিশিষ্ট সমাজসেবক ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোচেন আলী বাগচী।
তিনি গত ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে ভোট যুদ্ধে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আসন্ন ইউপি নির্বাচন কে সামনে রেখে ইতিমধ্যে তিনি আবারও চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে জনমত সৃস্টির লক্ষে মাঠে নেমেছেন। আসন্ন ইউপি নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা সংগ্রহ করেছে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। এখন পর্যন্ত দলীয় প্রতিক নৌকা প্রত্যাশী ১০ জন প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে।
জানা যায়, দেশের ৯ টি জেলার ১৯ টি ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের চলতি মাসের ৬ই জুন তফসিল ঘোষণা করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এতে পাবনা জেলার অবশিষ্ঠ সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ২৮ জুন রিটার্নিং অফিসারের নিকট মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ও ৩০ জুন মনোনয়নপত্র বাছাই, ৭ জুলাই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ এবং ২৭ জুলাই ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহনের তারিখ নির্ধারন করেছে নির্বাচন কমিশন।
করমজা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা হোচেন আলী বাগচী ও বাগচী পরিবার পারিবারিকভাবে তারা সমাজসেবক দানভীর। সে চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আরও জোরালোভাবে গত পাঁচ বছরে তার ইউনিয়নের সাধারন মানুষের স্বার্থে উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন। অনেক সময় নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। বিশ্বব্যাপি মহামারী করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই অসহায় সাধারন মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে ব্যাপক প্রসংশা কুড়িয়েন। তবে সবচেয়ে বেশি প্রসংশা কুড়িয়েছেন গ্রাম আদালত পরিচালনা করে। করমজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী বাগচী এই গ্রাম আদালতের সভাপতিত্বে গত চার বছরে তার ইউনিয়নের জনগনের অসংখ্য বিভিন্ন ধরনের দুপক্ষের অভিযোগ মামলার সমস্যা সমাধান করে ব্যাপক প্রশংশা কুড়িয়েছেন। যা সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সচলভাবে পরিচালিত হওয়ায় সুফল পাচ্ছেন করমজা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। ছোটখাট বিরোধ নিরসনে জেলা-উপজেলার আদালতে আসার সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। চলতি বছর উপজেলার গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে সহস্রাধিক মামলা। বিচার পদ্ধতি সহজ ও ভোগান্তি ছাড়া হওয়ায় উকিল মোক্তারের পরিবর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ওপর আস্থা রাখছেন ইউনিয়নবাসী। তাইতো এ ইউনিয়নের সর্বসÍরের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে গ্রাম আদালত। বিশেষ করে বিবাহ বিচ্ছেদের সমস্যা সমাধানে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে গ্রাম আদালত। এতে করে থানা এবং কোর্টে এই ইউনিয়নের কমেছে মামলার জটলা।
স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের জনগণ তাকে আবারও সব সময় কাছে পাবার জন্য এমন একজন জনবান্ধব বাগচীকেই আবারও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতিক নৌকা তার হাতেই দেখতে চায়।
তারা আরও বলেন, একজন দলীয় চেয়ারম্যান হিসাবে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রেখে এলাকায় সার্বিক উন্নয়নের ব্যাপারে সাবেক স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী, বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ৬৮,পাবনা-১ আসনের এমপি. এ্যাড.শামসুল হক টুকুর আদশের্র রাজনীতিতে অনুসারী ও আস্তাভাজন হিসেবে এমপি মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় ও সার্বিক সহযোগিতায় বিগত পাঁচ বছরে করমজা ইউনিয়নে সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য উন্নয়নগুলোর মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নিত করণে বিশেষ ভূমিকা পালন। রাস্তা ঘাট ও সুপেয় পানি সরবরাহ ৭০ থেকে ৮০ ভাগ উন্নতি করণ। বিদ্যুৎ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা শতভাগ নিশ্চিত করণ। শতভাগ ভিক্ষুক মুক্ত করণ। ৯০ থেকে শতভাগ বাল্যবিবাহ ও মাদক মুক্ত করণ অন্যতম অর্জন।
বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী স্মৃতি পদক-২০১৭, বাসাপ সম্মাননা স্বারক ২০১৭, পল্লীগীতি স¤্রাট আব্দুল আলীম স্বারক সম্মাননা-২০১৯, অগ্রনী বার্তা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০১৯, শেরে-বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২১, বাসাপ অমর একুশে সম্মাননা-২০২০ সহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভুষিত ও উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন পুরস্কার, সম্মাননা স্মারক ও পদক পেয়েছেন তিনি।
চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী বাগচী বলেন, আমি জন্মসূত্রে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ইউনিয়ন কমিটির সদস্য ছিলাম।
২০০৮ সালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী হিসাবে নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিজয় লাভ করে করমজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হই এবং ২০১৯ সালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দলীয় কর্মসূচী ও সাংগঠনিক সকল কর্মকান্ড সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসতেছি। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কার পক্ষে নির্বাচন করি কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ হারানোর নীল নক্শার নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় তৎকালীন সময়ের সাঁথিয়া- বেড়ার কুখ্যাত রাজাকার নিজামী ও তার দ্বারা পরিচালিত জামাত শিবির বাহিনী দ্বারা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হই। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকার মার্কার পক্ষে নির্বাচন ও নিজ অর্থের বিনিময়ে করমজা ইউনিয়নের দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বিভিন্ন মিটিং মিছিল পরিচালনা করি। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে নির্বাচন এবং বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় করি। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে নির্বাচন এবং বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় করি।
এরই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজ স¤পূন্ন করতে এবং এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে আসন্ন করমজা ইউপি নির্বাচনে আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হোচেন আলী বাগচী।