Tuesday, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীকে নির্বাচনে চান পাবনার সংস্কৃতিকর্মীরাওনার্স পরিচয় দেন ডাক্তার, দিচ্ছেন সর্ব রোগের চিকিৎসাডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশে চলমান করোনা মহামারি আর ডেঙ্গুজ্বরের সংক্রমণের পাশাপাশি নতুন আরো এক মহামারি নিপাহ ভাইরাসের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে,, বাংলাদেশ, ভারতসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে নিপাহ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনার মধ্যে নিপাহ ছড়িয়ে পড়লে সেটি হবে-আরও ভয়াবহ।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বাদুড় থেকে মানুষের দেহে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের হার যা ভাবা হতো তার চেয়ে বেশি।বাদুড়ের মল-মূত্রের মাধ্যমে ভাইরাসটি খেজুরের রসে মিশে যায় এবং সেখান থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়ে বলে এতদিন ধারণা ছিল। তবে এখন বিজ্ঞানীরা ভিন্ন কথা বলছেন। তাদের সাম্প্রতিক এই গবেষণায় বলা হয়েছে, যে সব অঞ্চলে খেজুর গাছ নেই সেখানেও রোগটি দেখা গেছে। এমনকি যারা কখনই খেজুরের রস পান করেননি এমন ব্যক্তির মধ্যেও সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

World Health Organization, Nipah Virus outbreak in Bangladesh

বিশ্ব পর্যায়ে প্রাণী, পরিবেশ এবং মানব স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিত ‘ইকো হেলথ এলায়েন্স’-এর বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ ৬ বছর ধরে বাংলাদেশ ও তার প্রতিবেশি দেশের প্রায় তিন হাজার বাদুড়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালিয়েছেন। এতে বিজ্ঞানীরা ভাইরাসটির এমন স্ট্রেইন পেয়েছেন, যা মানুষ থেকে অন্য মানব দেহে সংক্রমিত হয়ে মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে।

এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাইরাসটি দিনে দিনে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে। নিপাহ ভাইরাস বাংলাদেশ-ভারতের ঘনবসতি অঞ্চলে প্রায় প্রতি বছর দেখা দেয় এবং প্রাণঘাতী এই রোগটির এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ। ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছরই বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। গত ১৮ বছরে অন্তত: ৩০৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন নিপাহ ভাইরাসে এবং এদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই মারা গেছেন। যারা বেঁচে আছেন, তারা নানা ধরনের স্নায়ুগত জটিলতায় ভুগছেন। এই রোগের লক্ষণ জ্বর, মাথা ধরা, পেশির যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব ও ফুসফুসের সংক্রমণ। সাধারণত শীতকালে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

এ প্রসঙ্গে রোগ তত্ব ও রোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাক্তার এ এস এম আলমগীর সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনা আর ডেঙ্গুর প্রকোপের মাঝে নিপার সংক্রমন ছড়িয়ে পড়লে তা মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ নিপার ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। আর মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলেও নানা শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ড: মোহাম্মদ গোলজার হোসেন বলছেন, এই শীত মৌসুমে খেজুরের কাঁচা রস পান না করা এবং রাতে বাদুরে ঠোকরানো ফল না খাওয়াটাই নিরাপদ।

এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ- শীতে খেজুরের কাঁচা রস ও বাদুরে খাওয়া ফল না খাওয়া। এছাড়া ফরিদপুর,মাদারিপুর, রাজবাড়ি, কুমিল্লা, যশোর -এসব এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে খেজুর গুঁড় উৎপাদনের ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানো দরকার। কারণ ও সব এলাকায় ইতোমধ্যেই নিপা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, করোনার মতোই নিপাহ ভাইরাসেরও কোন প্রতিষেধক যেহেতু এখনো আবিস্কৃত হয় নি; তাই এর থেকে সতর্ক থাকার কোন বিকল্প নেই।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর