Friday, ডিসেম্বর ৮, ২০২৩
শিরোনাম
ডলি সায়ন্তনীর প্রার্থীতা ফেরার অপেক্ষায় সুজানগর, আমিনপুরের মানুষঅবহেলা অব্যবস্থাপনায় অকার্যকর পাবনার সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, বিপাকে কৃষকসাঁথিয়ায় ভোটার হালনাগাদকারীদের পাওনা দিতে গরিমসি করছেন নির্বাচন অফিসারআটঘরিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী আটকসাঁথিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা ॥ জনমনে অসন্তোষসাঁথিয়ায় চলাচলের রাস্তায় বেড়া,অবরুদ্ধ ১৬ পরিবারআটঘরিয়ায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনবেড়ায় পাট ক্ষেত থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধারবেড়ায় বালুবাহী ড্রাম ট্রাক চাপায় ঠিকাদার নিহতমহাসড়কের দুপাশের গাছ চালক-যাত্রীদের আতঙ্ক

বেড়ার সেই বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দুদকের তদন্ত

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

আরিফ খান: পাবনার বেড়া উপজেলার মাশুন্দিয়া-ভবানীপুর কে.জে.বি ডিগ্রি কলেজের সেই বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাসের অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা, ব্যাকডেটে নিয়োগ বাণিজ্য ও ভারতে বসবাসকারী শিক্ষক বিশ্বনাথ দত্তের স্বাক্ষর জাল করে এমপিওভুক্তির অর্থ ব্যাংক একাউন্টে জমা করার বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করে দুদক। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পাবনা নিউজ ডটনেট সহ জাতীয়, স্থানীয় পত্রপত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় ঐ কলেজের নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হলে এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দুদকের চেয়ারম্যান গত পাবনা আঞ্চলিক অফিসের ওপর দায়িত্ব দেয়।

রবিবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় দুদকের পাবনা জেলা আঞ্চলিক অফিসের সহকারী পরিচালকসহ একটি টিম কলেজে দিনব্যাপি তদন্ত পরিচালনা করেন।

বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, দুদকের উপস্থিতি টের পেয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস কলেজ থেকে দ্রুত সটকে পড়েন। পরবর্তীতে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক কয়েকবার ফোন দিয়ে আসার অনুরোধ করলে তিনি আসবেন না বলে জানান। পরে দুদক কর্মকর্তারা তাকে ফোন দিয়ে দ্রুত উপস্থিত হতে বলেন এবং জানান, কলেজে উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। পরে দুপুর ১২ টার দিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস কলেজে হাজির হন। প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষক জানান, দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে থাকা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। দুদক কর্মকর্তাদের চাহিদামতো তেমন কোন বৈধ ডকুমেন্টস তিনি দেখাতে পারেননি বলে জানা যায়।

 

এ বিষয়ে দুদক, পাবনার তদন্তকারী টিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ঐ কলেজের একজন সহকারী শিক্ষকের অভিযোগ এবং বিভিন্ন ইলেট্রনিক্স এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদের ভিক্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহ করে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তারা। তদন্তের স্বার্থে আপাতত মিডিয়ায় আমরা তথ্য দিতে পারছি না। তদন্তকাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে মিডিয়াকে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

 

উল্লেখ্য, ওই কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ দত্ত প্রায় ৫ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে বাংলাদেশে এসে বেতন নিয়ে চলে যান। আর তার এই অনৈতিক কাজে জাল স্বাক্ষর দিয়ে সহায়তা করছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস। ওই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ২০১৫ সালের নিয়োগপ্রাপ্ত মীর তরুণ নামের এক শিক্ষককে প্যাঁচে ফেলে প্রভাষক পদ থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করে তার জায়গায় শামসুন্নাহার নামের আরেকজনকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তৎকালীন অধ্যক্ষের সীল-স্বাক্ষর জাল করে ব্যাকডেটে নিয়োগ দেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম বিশ্বাস নিজেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাপন ও বিধিকে অমান্য করে গভর্নিং বডিকে ভুল বুঝিয়ে একটানা তিন বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করে বসে আছেন।

শেয়ার করতে এখানে চাপ দিন

সর্বশেষ খবর